ভারতের এক আন্দোলনের মুখোশধারীদের ছবি শাহাবাগের নামে চালিয়ে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. শাহিনুর রহমান। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে ওই ভুয়া ছবি ফেসবুকে শেয়ার দেবার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার শিকার হন তিনি। অবশেষে দুই ঘণ্টা পর তিনি ছবিটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হন।
সূত্র মতে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার দাবিতে চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয়। ছবিটি ছিল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার একটি আন্দোলনের মুখোশ পরিহিত কিছু যুবকের। ছবিটিকে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী জামায়াত-শিবির বলে প্রচার করা হয়। সেই একই ছবি প্রো-ভিসি ড. শাহিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বলে চালাতে ফেসবুকে শেয়ার দেন।
তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে ওই ভুয়া ছবিটি পোস্ট করেন। এর পর পরই তার বিরোধিতা ও তিরস্কার করে প্রচুর মন্তব্য আসতে থাকে।
মেহেদি মেনন নামে একজন তাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, ‘দালালি ছাড়ুন, আপনাদের থেকে দালালি আশা করিনা স্যার।’ আকবর হোসেন নামে একজন লিখেন, ‘আপনার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করছিলাম, স্যার।’ মাসুম সাগর নামে আরেকজন লিখেন, ‘স্যার মনে হয় পিকটা ভালোভাবে জাজ করার সময় পাননি।’
এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন ভারতের ওই আন্দোলনের ছবিসহ বিভিন্ন লিংক তার পোস্টে কমেন্ট করেন। এতে চরম বিপাকে পড়েন তিনি। বিদ্রূপে অতিষ্ঠ হয়ে মুল বিষয় বুঝতে পেরে তিনি দুই ঘণ্টা পর পোস্টটি তুলে নেন।
এর আগে সকাল দশটায় ইবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে প্রশাসন ও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। দেশের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করলেও তাদের সে সুযোগ দেয়া হয়নি। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে আসলে প্রো-ভিসি ড. শাহিন তার সাথে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। এসময় তিনি পুলিশের সাথে আড্ডা দিলেও পাশেই অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সাথে কোন কথা বলেননি।
এ ব্যাপারে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ‘কেউ যদি মুখোশ পড়ে আন্দোলন করে তা কখনো ভালো লক্ষণ নয়। আমি সকালে ছবিটি শেয়ার করেছিলাম। ভারতের ছবি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে জানি না।’ পোস্ট রিমুভ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আইডি তিন জন (স্ত্রী, কন্যা ও নিজে) মেইনটেইন করে। রিমুভ করা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না।’
সূত্র: মানবজমিন