নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পেতে প্রস্তাবিত ১৩ শর্ত পূরণে কাতারকে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছে সৌদি আরব ও তার তিন সহযোগী দেশ। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পেতে কাতারকে ১০ দিনের মধ্যে ১৩ দফা দাবি পূরণের শর্ত দিয়েছিল দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। শর্ত পূরণের সময়সীমা গতকাল রোববার রাতে পেরিয়ে যায়। কিন্তু সংকটের কোনো সমাধান হয়নি। এরপর নতুন করে ৪৮ ঘণ্টার সময় দেওয়া হলো।
এখন সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলো বলছে, তারা শর্ত পূরণের সময়সীমা বাড়িয়েছে। কাতার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শর্ত পূরণ না করলে দোহার ওপর আরও অবরোধ দেওয়া হবে।
দোহা জানিয়েছে, শর্তের বিষয়ে তারা তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া চিঠির মাধ্যমে আজ জানিয়ে দেবে। কুয়েতের কাছে এই চিঠি দেওয়া হবে। কুয়েত চলমান এই সংকট সমাধানের মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
চিঠি হস্তান্তর করতে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি আজ কুয়েতে যাবেন। কাতারের আমিরের চিঠিটি কুয়েতের আমিরকে দেওয়া হবে।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি বলে দিয়েছেন, আরব দেশগুলোর শর্ত প্রত্যাখ্যান করা হবে। আর এভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা নয়, বরং কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ করা।
আল-থানি ইতালির রাজধানী রোমে গত শনিবার বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগের ব্যাপারটা নিয়ে দোহা আলোচনায় বসতে রাজি আছে। তবে একটা সার্বভৌম দেশের ওপর এমন শর্ত ও সময়সীমা চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার কারও নেই।
গত মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে কাতারের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরবসহ সাত দেশ। কাতার অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।
দোহার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে সম্প্রতি ১৩ দফা শর্তবিশিষ্ট তালিকা পাঠায় সৌদি আরব ও তার সহযোগী দেশগুলো। দাবির তালিকা ‘যৌক্তিক বা গ্রহণযোগ্য’ নয় বলে উল্লেখ করে কাতার।
চলমান সংকটের ফলে কাতারের লোকজন ভ্রমণ এবং খাদ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়েছে। উপসাগরীয় আরব অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে। পাশাপাশি ব্যবসার ক্ষেত্রে বেড়েছে বিভ্রান্তি।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post