সৌদি আরব সহ কয়েকটি আরব দেশ কাতারকে যেভাবে একঘরে করার চেষ্টা করছে, তার কঠোর নিন্দা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, কাতারের ওপর এই অবরোধ অমানবিক এবং অনৈসলামিক।
মি. এরদোয়ান বলেন, “কাতারের ক্ষেত্রেএক গুরুতর ভুল করা হচ্ছে। তাদের বিচ্ছিন্ন করার এই চেষ্টা অমানবিকএবং ইসলামী মূল্যোধের বিরোধী। এটা এটা কাতারকে মৃত্যুদন্ড দেবার সামিল।”
তুরস্কেএ অবরোধের প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষোভও হয়েছে গত সপ্তাহে।
অবরোধের কারণে সংকটাপন্ন কাতারকে সাহায্য দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। তুরস্ক এবং ইরানের পর এখন মরক্কোও কাতারে বিমানে করে খাবার পাঠিয়েছে। তুরস্ক এর আেই দুধজাত খাবার, মুরগির মাংস, এবং ফলের রস পাঠিয়েছে।
মরক্কো বলছে, পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমদের পারস্পরিক সাহায্যের চেতনা থেকে তারা বিমানে করে খাদ্যসামগ্রী পাঠাবে।
উপসাগরীর দেশগুলোর মধ্যে কাতারের সঙ্গে তুরস্কের বেশ উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং কাতারকে তারা ঐ অঞ্চলের প্রধান মিত্র বলে গণ্য করে। স্বভাবতই কাতারের বিরুদ্ধে অন্য উপসাগরীয় দেশগুলোর অবরোধ আরোপের ঘটনায় তুরস্ক বেশ ক্ষুব্ধ।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এই অবরোধের সমালোচনা করেছেন খুবই কড়া ভাষায় ।
কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক যেভাবে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে, কাতারের অবস্থানও তাই। কাজেই মানুষকে বোকা বানানো বন্ধ করা উচিত।
কাতারকে ঘিরে এই সংকটে তুরস্ককে একটু নাজুক অবস্থায় ফেলেছে। সৌদি আরবের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটছে, কিন্তু একই সঙ্গে তারা ইরানের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চায়।
সৌদি আরবকে সরাসরি সমালোচনা না করলেও প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এই সংকটের সমাধানে বাদশাহ সালমানকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তুরস্কের পার্লামেন্ট গত সপ্তাহে কাতারের একটি তুর্কী সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
Discussion about this post