গোলাম মোর্তজা
“একজন এমপি ( বিনা ভোটে হলেও), একটি ব্যাংকের ( প্রিমিয়ার ব্যাংক) পরিচালক হয়ে, একজন গ্রাহকের ১৩৪ কোটি টাকা প্রতারণা করে আত্মসাত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো এমপি এমন অনন্য নজীর স্থাপন করল।
এর চেয়েও চমকপ্রদ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র শুভঙ্কর সাহার বক্তব্য। ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাত বিষয়ে সাংবাদিক Fakhrul Islam Harun কে বলেছে,’ পুরো বিষয়টি জানিনা, জানতে চাই না এবং জানাতেও চান না।’
কেন জানাতে চান না?
‘জনসমক্ষে বলার মত ঘটনা এটা না।’
শুভঙ্কর সাহার কাছে প্রশ্ন:
• কেন এটা জনসমক্ষে বলার মত ঘটনা না?
• বললে, সম্মান যাবে?
• সম্মান গেলে কার যাবে, বি এইচ হারুনের না আপনার?
• বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে প্রতারকের সম্মান বাঁচানো কী আপনার দায়িত্বের মধ্যে পরে?
• পারিবারিক সম্পদ বা অর্থ চুরি বা প্রতারণা করে কেউ আত্মসাত করলে, প্রতারকের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব নিতে পারেন। সেই প্রতারক যদি ঘনিষ্টজন হয়, তার থেকে সুবিধাভোগী হয়ে থাকলে, প্রতারণার কাহিনি অনেক ক্ষেত্রে গোপণ করা হয়ে থাকে। প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে আত্মসাত করা ১৩৪ কোটি টাকা কী আপনার পারিবারিক সম্পদ- অর্থ?
• যদি জানা দরকার না হয়, তবে কী নির্বাহী পরিচালক হিসেবে আপনার থাকার কোনো কারণ আছে?
• রিজার্ভ চুরি তো আপনারা ( গভর্ণর আতিউর রহমানসহ) সম্মিলিত ভাবে চাপা দিয়েছিলেন। জনগণের সম্পদ রক্ষায় ব্যর্থ,চুরি চাপা দেয়ার মত অনৈতিক কর্ম করে, সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেছে। সেখানে গিয়ে কোন শিক্ষককে অন্যায়- অনৈতিকভাবে বাদ দেয়া যায়, সেই কূ-রাজনীতির অনুসারী হয়েছে।আপনি এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে কেন?”
Discussion about this post