গত সোমবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুর এলাকার একটি ইসলামিক সেন্টার থেকে তারাবীহ নামাজ আদায়রত অবস্থায় তিনজন হাফেজ ইমাম, দুই নারী মুসল্লি ও শিশুসহ ১৭ জনকে অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয় গুলশান থানা পুলিশ।
পবিত্র হজ্জ পালন করতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন এমন ৬ জনকেও আটক করে মামলা দেয়া হয়েছে, নেয়া হয়েছে রিমান্ডে । কিয়ামুল লাইল, তারাবীহ, জামায়াতে সালাত আদায় করা কি অপরাধ? নারী ও শিশুরা কি সালাত আদায় করতে পারবেন না? এদেশে কি তাদের সেই ধর্মীয় স্বাধীনতা ও অধিকার নেই?
যেখানে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২(ক)-এ বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মপালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করিবেন। তাহলে তাদের কেন নামাজরত অবস্থায় গ্রেফতার করা হলো?
অথচ ২৭ মার্চ গুলশানের যে ইসলামিক সেন্টার থেকে নারী শিশু ও ইমামসহ যাদের আটক করা হয়েছে তা দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিচালনা করে আসছেন।
নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ কি আওয়ামী লীগের কবলে পড়ে নামাজ রোজা করার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেললো?
এটা কীভাবে সম্ভব যে, পবিত্র রমজানের সময় নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, আওয়ামী সরকারের জুলুম থেকে রেহাই পায়নি নারী ও শিশুরা! কতটা ইসলামবিদ্বেষী হলে এমনটা করতে পারে আওয়ামী জালিম সরকার!
সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা আরো জানতে পারি সরকার সারাদেশে ইফতার মাহফিলগুলো নজরদারি করবে। রমজান মাসে মুসলিমরা ইফতার অনুষ্ঠান করবে, এতো স্বাভাবিক বিষয়। কেন মুসলিমদের অনুষ্ঠানে সরকারের এতো ভয়? কেন তারা ইসলামী ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিতে চায়? কেন আওয়ামী লীগ ইসলাম নিয়ে এতটা বিদ্বেষ লালন করে?
সারাদেশে শেখ মুজিবের ভাষণ প্রচারের নামে কোটি কোটি টাকা অপচয় করছে। লুটপাট করছে, পাচার করছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বিদেশে অহেতুক সফরের নামে লক্ষ লক্ষ ডলার অপচয় করছে। অথচ ইফতার অনুষ্ঠানের ব্যাপারে এসেছে ব্যয় সংকোচনের কথা। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে ও সরকারিভাবে সকল ইফতার অনুষ্ঠান বর্জন করেছে।
আমরা কি স্বাধীনভাবে বাংলাদেশে নামাজ, রোজা, ইফতার, তারাবিহ, কিয়ামুল লাইল করতে পারবো না? সরকারের নজরদারির মধ্যে থাকতে হবে? প্রতিবছর নতুন নতুন পদ্ধতি বের করে আওয়ামী লীগ তাদের ইসলামবিদ্বেষের নমুনা দেখিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ইসলাম বিদ্বেষ ও ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে আলেম ওলামাদের নেতৃত্বে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অব্যাহত ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। আমরা আপামর তৌহিদী জনতাকে সজাগ, সচেতন ও প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
Discussion about this post