রুদ্র আহনাফ
বর্তমান বিশ্বের রাষ্ট্র্রপ্রধানদের মধ্যে যদি মিথ্যাবাদী, ভন্ড, বাটপার, মুনাফিক, অসৎ, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের তালিকা করা হয় তাহলে তালিকার প্রথমে থাকবে বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। কারণ, তার মতো এমন দুই নম্বর রাষ্ট্রপ্রধান আর কোনো দেশে নাই।
বুধবার ছাত্রলীগের একটি সভায় শেখ হাসিনা দাবি করেছেন-যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ তার নাই। এরপর বৃহস্পতিবার আরেক সভায়-তার দলকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় তিনি জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনার দাবি-তার সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, তাই মানুষ তাকে বার বার ভোট দিচ্ছে। তিনি মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের মানুষ তাকে চায় বলেই তিনি বারবার ক্ষমতায় আছেন।
প্রশ্ন হল-অতীত কি বলে? কেমন নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন? এরপর তার শাসনামলের দুইটি নির্বাচন কেমন ছিল? দেশের মানুষ কি এসব ভুলে গেছে?
ইতিহাস বলে-২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে এদেশের মানুষ ভোট দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটকে। মানুষ শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দেয়নি। কিন্তু ভারতের চাপে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা দিয়েছিল।
এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আসলে কোনো নির্বাচন ছিল না। শেখ হাসিনার ১৫৪ জন এমপিই ছিল অবৈধ। তারা জনগণের কোনো ভোটে নির্বাচিত হননি। আর বাদ বাকীগুলোও র্যাব-পুলিশ ও বিজিবির পাহারায় নৌকায় সিল মেরে এমপি হয়েছিল। সেই বার জোর করে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছিল। দেশ-বিদেশের কেউ শেখ হাসিনার সরকারকে তখন বৈধতা দেয়নি। এমনকি ২০১৭ সালে যখন আদালত হাসিনার বিনাভোটের ১৫৪ এমপিকে অবৈধ ঘোষনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনই শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেন।
তারপর, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের কথা আর নতুন করে বলার কিছু নাই। দিনের ভোট রাতে হয়েছে এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ভোট ডাকাতির নজির নেই।
এরপরও শেখ হাসিনা বলছেন-যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ তার নাই। এসব কথা শুধু একজন পাগলের পক্ষেই বলা সম্ভব।
Discussion about this post