রুদ্র আহনাফ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রকৃত অর্থে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আওয়ামী লীগ হল ইস্যু তৈরির কারখানা। ওদের কাজ হল শুধু নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করা। দেশের শান্ত পরিবেশ তাদের ভাল লাগে না। দেশকে অশান্ত রাখতে তারা সব কিছু করতে পারে। বিরোধীদলকে ঘায়েল করতে তারা নিজ দলের নেতাকর্মীদেরকেও গুলি করে হত্যা করতে পারে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে পারে নিরপরাধ মানুষের বাড়িঘর।
দেশে এখন তেমন কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই। নেই অস্থিরতাও। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। রাজপথে সরকার বিরোধী কোনো মিটিং মিছিলও করছে না। সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সরকারের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে একটা অশান্ত পরিবেশ তৈরি করেছে।
কুমিল্লায় পূজামন্ডপে দেবীর পায়ের কাছে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআন শরীফ রেখেছিল আওয়ামী লীগের লোকজনই। এখানে বিএনপি-জামায়াত কিংবা অন্য কেউ কুরআন রাখেনি। হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রমাণিক বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই এখানে কুরআন রেখেছিল। কুমিল্লার স্থানীয় জনগণও এমনটা বলছে।
অপরদিকে, ঘটনার পর সেখানে গিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও জনসংহতি আন্দোলনের সভাপতি জুনাইদ সাকি। তাদের কাছে হৃদয় সাহা নামে এক কিশোর বলেছে-সেদিন মধ্যরাতে পুলিশের একটি গাড়ি আসে সেখানে। কয়েকজন যুবককে পুলিশ কিছু একটা জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর পুলিশের গাড়ি চলে যায়। কিছুক্ষণ পরই পুজামণ্ডপ এলাকার লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়। তখনই আমরা বুঝতে পারছি এখানে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।
হৃদয় সাহা আরও বলেছেন, প্রভাবশালীরা এটার সাথে জড়িত। পুলিশ যুবকদেরকে আটক করেনি কেন? তারপর পুজামণ্ডপের লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল কেন? ক্ষমতাসীন লোক ছাড়া এসব কেউ করেনি।
দেখা যাচ্ছে-গোবিন্দ চন্দ্র প্রমাণিক ও হৃদয় সাহার মধ্যে অনেক মিল আছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজন যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে এতে সন্দেহের কোনো কারণ নাই। আওয়ামী লীগের চরিত্রই হল নিজেরা হত্যাযজ্ঞ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বিএনপি-জামায়াতের ঘাড়ে দোষ চাপানো।
Discussion about this post