অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
কোটা সংস্কার নিয়ে দেশে এখন আর কোনো আন্দোলন নেই। আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করছেন। কিন্তু, কোনো আন্দোলন না থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ওপর প্রতিশোধ নেয়া ঠিকই অব্যাহত রেখেছেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছিল যৌক্তিক। তাদের এই আন্দোলনে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সমর্থন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করতে নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার পথ বেছে নিয়েছিল সরকার। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বর্বরোচিত কায়দায় নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার কোটা আন্দোলন দমন করেছে।
শুধু আন্দোলন দমন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি সরকার। পরবর্তীতে এই আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদেরকে ডিবি পুলিশ দিয়ে গুম-অপহরণ করানো হয়। কয়েকদিন অজ্ঞাত স্থানে রেখে নির্মম নির্যাতনের পর তাদেরকে আটক দেখানো হয়েছে।
এমনভাবে সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারাই কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্রলীগ ও ডিবি পুলিশ তাদেরকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবই হয়েছে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে। শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সেই রাতে তিনি ঘুমাতে পারেন নি। এখন তিনি কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর সেই প্রতিশোধ নিচ্ছেন।
শেখ হাসিনার সর্বশেষ প্রতিহিংসার শিকার হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে। তার অপরাধ-তিনি কোটা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
একজন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে ঢাবির শিক্ষার্থীরা। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
আর বিশিষ্টজনেরা বলছেন, শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছেন। কারণ শিক্ষার্থীরা বার বার রাস্তায় নেমে শেখ হাসিনাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছে। সেই প্রতিশোধ এখন নিচ্ছেন শেখ হাসিনা।
তারা এও বলছেন যে, শিক্ষার্থীদের ওপর এসব নির্যাতন সরকারের জন্য শুধু ক্ষতিই বয়ে আনবে। এভাবে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদেরকে ক্ষেপিয়ে তুললে তারা আবারো মাঠে নামতে বাধ্য হবে। তখন হয়তো তাদেরকে ঠেকানো সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।