জাতিসংঘকে ঠিকভাবে চালাতে পারছেন না সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইয়েমেনের শিশুদের ওপর জাতিসংঘের একটি রিপোর্টই এর সর্বোত্তম উদাহরণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইয়েমেনে জাতিসংঘ তাদের দায়িত্বে অবহেলা করেছে। সেই সাথে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনের আগেই বিষয়টি জানতো জাতিসংঘ। কিন্তু সেখানেও সহিংসতারোধে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে চুপ থেকে সংস্থাটির ইমেজ নষ্ট করেছেন মহাসচিব গুতেরেস।
গুতেরেস যে মিশন পরিচালনা করছেন সেখানে দক্ষতা এবং যোগ্যতার অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে সুষ্ঠু এবং দক্ষ পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন গুতেরেস।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে আল মদীনা ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় পর্তুগিজ সরকারকে দেউলিয়া বানিয়েছেন গুতেরেস।
বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও গুতেরেসের সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ফিলিস্তিন ইস্যু, রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্ভোগের বিষয়গুলোকে অবহেলা এবং জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম কমিয়ে এনেছেন তিনি।
ভুল প্রতিবেদন এবং পরিসংখ্যান তৈরি করতে কিছু ইয়েমেনি দল এবং সংগঠন তার প্রশাসনকে প্রভাবিত করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পর্তুগালের একটি সরকারি ব্যাংকে তার কর্তৃত্ব আরো একটি দুর্ভাগ্যজনক ব্যর্থতার গল্প। সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে নীরব ভূমিকা ও দুর্বলতা এবং অর্থনীতির পতন ঘটানোর জন্য তাকে সরকার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
অনেকেই টুইট করে বলছেন, গুতেরেস জাতিসংঘে থাকার আর যোগ্যতা রাখেন না।
মক্কা দৈনিকের এক খবরে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে সহিংসতার ঘটনায় সঠিক বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতিসংঘ প্রধান। ইয়েমেনের ওপর অনেক ক্ষেত্রেই পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভুল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এসব প্রতিবেদন তৈরির সময় গুতেরেসের তরফ থেকে বৈধ সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। তায়েজ শহরে মানবিক পরিস্থিতির যে অবনতি ঘটেছে সে সময়ও চুপ থেকেছে জাতিসংঘ।
সূত্র: শীর্ষনিউজ
Discussion about this post