মুহাম্মদ নোমান ও রিফাত চৌধুরী
কিছু দিন আগে আমি এমন আশংকা ব্যাক্ত করেছিলাম। তবে, আমি জেনারেল রাহিল শরীফের দিকে ইঙ্গিত করেছিলাম। এখনো পর্যন্ত এটাকে একটি বিচারিক ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তবে অন্য কোন কিছু হওয়াও অসম্ভব কিছু না। এ ঘটনা পাকিস্তানের জন্য ইতিবাচকও হতে পারে। পাকিস্তানে ইতিমধ্যেই আইন বিভাগ এবং মিডিয়া যথেষ্ট মজবুত হয়েছে। যদি এই ঘটনা তাদেরকে একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যাবস্থা উপহার দেয় তাহলে এটি পাকিস্থানের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। ইমরানকে নিয়ে যুগপৎ আশা এবং ভয় দুটো’ই কাজ করছে। বাকিটা রিফাত চৌধুরীর লেখায় পড়ুন।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট পানামা পেপারস কেলেংকারি দূর্নীতি মামলার রায় দিয়েছে। রায়ে নওয়াজ শরীফ ও তার অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নওয়াজ শরীফ আর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না ।
এখানে পুরো বিষয়ের দুইটা দিক। প্রথমটা একান্তই বিচারিক বা আদালতের বিষয়। যদি বিকল্প কোন বিচারিক প্রক্রিয়া নওয়াজ শরীফের হাতে না থাকে তাহলে তার আর কোন উপায় নেই। সেইদিক থেকে বলতেই হয় পাকিস্তানের বিচার বিভাগ অনেক শক্তিশালি ও স্বাধীন।
দ্বিতিয় দিকটি রাজনৈতিক । পাকিস্তানের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস যারা ভালো করে চিনেন, তারা আরেকটি সামরিক শাসন শুরুর গন্ধ হয়তো বা পেয়ে থাকতে পারেন। পাকিস্তানের রাজনীতিতে আফগানিস্তান ইস্যুতে নওয়াজ শরীফের সাথে আমরিকার বনিবনা বেশি একটা কোন কালেই ভালো ছিলো না। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও আফগান ইস্যুতে আমরিকার পছন্দ পিপিপি। আবার ইমরান খানেরও নড়াচড়া সন্দেহের ঊর্ধে না। আবার নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগের ভেতরেও যে কোন গ্রুপ কিছু করছে কি না সেটাও একটা সন্দেহের বিষয় । আবার সাম্প্রতিক ট্রাম্পের ভারত সফর, মোদির ইসরাইল সফর আর কাতার ইস্যুতে নওয়াজ শরীফের ভূমিকা এর পেছনে কোন ভূমিকা রেখেছে কি না সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
যাই হোক আরেকটি নির্বাচনই পারে পাকিস্তানকে আরেকটি অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করতে । কোন ফ্যাক্টর কাজ করেছিলো তা বুঝতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে। পাকিস্তানকে যেভাবেই হোক গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রাখতে হবে।
আল্লাহ উম্মাহর প্রতিটি ঘর, প্রতিটি দূর্গকে হেফাজত করুন ।
(ফেসবুক থেকে)
Discussion about this post