সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর ১৩ দফা দাবি মানবে না কাতার। তারা এই দাবি নাকচ করেছে। দাবি নাকচের জেরে কোনো সামরিক পদক্ষেপকেও ভয় পায় না দোহা।
ইতালির রাজধানী রোমে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানি। দ্য গার্ডিয়ান ও আল জাজিরা অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পেতে দোহাকে ১০ দিনের মধ্যে ১৩ দফা দাবি পূরণের শর্ত দিয়েছে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নকারী সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।
সৌদি আরব ও তার সহযোগী দেশগুলোর বেঁধে দেওয়া সময়সীমা কাল সোমবার শেষ হচ্ছে। এর ৪৮ ঘণ্টার কম আগে কাতার ফের জানিয়ে দিল, তারা দাবি মানছে না।
রোমে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবাই অবগত যে দাবিগুলো কাতারের সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে। বিশ্ব আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় বলে বিশ্বাস করে কাতার। এই আইন ছোট দেশের ওপর বড় দেশের বলপ্রয়োগ অনুমোদন করে না।
আল-থানি বলেন, ‘একটি সার্বভৌম দেশের ওপর আল্টিমেটাম জারির অধিকার কারও নেই।’
গত মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে কাতারের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরবসহ সাত দেশ। তবে কাতার এ অভিযোগ শুরু থেকেই প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
দোহার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে সম্প্রতি ১৩ দফা শর্তবিশিষ্ট তালিকা পাঠায় সৌদি আরব ও তার সহযোগী দেশগুলো। দাবির তালিকা ‘যৌক্তিক বা গ্রহণযোগ্য’ নয় বলে উল্লেখ করে কাতার।
রোমে আল-থানি বলেন, দাবিগুলো নাকচ করা হয়েছে। এসব দাবি কখনোই মানা হবে না।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব ও তার সহযোগী দেশগুলোর দাবি নাকচ করার পাল্টা প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে কাতার ভীত নয়। যেকোনো পরিণতি মোকাবিলায় কাতার প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক আইনের কথা উল্লেখ করে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আইন লঙ্ঘন করা উচিত নয়। সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post