দোহাভিত্তিক পত্রিকা আল-শারকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কাতারের নাগরিকদের হারাম শরিফে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে সৌদী কর্তৃপক্ষ।
পত্রিকাটি জানায়, কাতারের হজযাত্রীদের হারাম শরিফে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে।
মানবাধিকার কমিশনের প্রধান আলি বিন ছমিখ আল মারি হিউম্যান রাইট’স কনভেনশনের দেয়া ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, সৌদী কর্তৃপক্ষ সাধারণত হারাম শরিফে ঢোকার ক্ষেত্রে জাতীয় বা গোত্রগত পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করে না ।
বাহরাইন এবং আরব আমিরাত সোশ্যল মিডিয়ায় কাতারের প্রতি সহানুভূতি দেখানো অপরাধ ঘোষণা করার মাত্র কয়েকদিন পরেই এমন অভিযোগ পাওয়া গেল।
আরব আমিরাত বলছে, অপরাধীদের ১৫ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে । আর বাহরাইন ৫ বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছে ।
কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হবার পর থেকেই আরবীতে কাতারের পক্ষে বিপক্ষে দেয়া স্লোগানগুলি আরবী ভাষায় টুইটারের সবচাইতে বেশি আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে স্থান পায়। টুইটার আরব বিশ্বে বিশেষ করে সৌদী আরবে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম।
কাতারের রাষ্ট্র চালিত সংবাদ সংস্থার উপর সাইবার আক্রমনের পর এই দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করে। কাতার চরমপন্থীদের সহযোগীতা করে এমন কথিত অভিযোগ এনে গত সোমবার সৌদী আরব, বাহরাইন, মিশর এবং আরব আমিরাত কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং পরিবহন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ।
কাতার খুব জোর গলায় এ অভিযোগ নাকচ করে দেয় ।
কাতার তার বিবৃতিতে বলেছে যে কাতার সরকার যুবকদের চাকরি দেয়ার মাধ্যমে আশার সঞ্চার করে, হাজার হাজার সিরিয়ান উদ্বাস্তুদের শিক্ষার সুযোগ দিয়ে, এবং সামাজিক কার্যক্রমে অর্থায়ন করার মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে এই অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মূলোচ্ছেদে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
কাতার সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় “ঐ যৌথবিবৃতিতে স্বাক্ষর করা অনেক দেশের চাইতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান শক্তিশালী। এই বিষয়টা ঐ বিবৃতির লেখকরা ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেছেন।”
Discussion about this post