বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, দেশের একটি বৃহত্তর অঞ্চলে বন্যার মতো এই দুর্যোগের সময় হাওরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেশের বাইরে থাকা প্রমাণ করে যে দেশে এখন সরকার বলে কিছু নেই।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়াকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আরও আগেই যাওয়া উচিত ছিল।
এদিকে বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, হাওর এলাকায় সাহায্য করতে এগিয়ে আসা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনকে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে দিতে বাধা দিচ্ছে সরকার। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান।
রিজভী অভিযোগ করেন, বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য আগামীকাল শুক্রবার সুনামগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সফরের অজুহাত তুলে স্থানীয় প্রশাসন বিএনপির ত্রাণ প্রতিনিধিদলের সফর ‘বানচাল’ করে দেয়।
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, অধিকাংশ উপদ্রুত এলাকায় বিপন্ন মানুষগুলোর কাছে সরকারের সহায়তা পৌঁছায়নি। নেত্রকোনায় হাওর এলাকায় সরকারের এক মন্ত্রী গুটিকয়েক দুর্গত মানুষকে ত্রাণ দিয়ে ঢাকায় চলে এসেছেন। দুর্গত মানুষদের ত্রাণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও দলীয়করণ করা হচ্ছে।
রিজভী দাবি করেন, ‘যাদের সমর্থনে আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে, তারা যাতে বিরূপ না হয়, সে জন্য পানিতে ইউরেনিয়াম বর্জ্যের কারণে বিষক্রিয়ার বিষয় নিয়েও ক্ষমতাসীনরা জনগণের সামনে স্পষ্ট কিছুই তুলে ধরছে না। ক্ষমতাসীনদের মহা বিজ্ঞানীরা কেন হাওর অঞ্চলের ব্যাপক মড়কের কারণ ব্যাখ্যা করছেন না তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।’
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post