অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ হাসিনার দালালী করেও রক্ষা পেলেন না বিএনপির সংসদ সদস্য হারুর অর রশিদ। দলীয় চেয়ারপারসনকে কারাগারে রেখেই হালুয়া-রুটি খাওয়ার জন্য অবৈধ সংসদের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে সংসদে যোগ দিয়েছিলেন এমপি হারুন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর তার হলো না। শুল্ক ফাকির মামলায় তাকে কারাগারে যেতেই হলো। তাই অনেকেই হাস্যরস করে বলছেন, হারুন সাহেব এখন হালুয়া-রুটির পরিবর্তে কারাগারের ডাল-রুটি খাবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ হাসিনার এই অবৈধ সংসদে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান রাজি ছিলেন না। এমপি হারুনই তারেক রহমানকে বাধ্য করেছিল। আর অন্য ৫ জন এমপিকেও সংসদে যোগ দেয়ার জন্য প্রভাবিত করেছিল হারুন। শেখ হাসিনার অবৈধ সংসদকে বৈধতা দেয়ার জন্যই মূলত এমপি হারুন এসব করেছিলেন। তাই রাজনীতিবিদরা বলছেন, স্বার্থ হাসিলের পর যে শেখ হাসিনা লাথি দিয়ে ফেলে দেয় সেটা মনে হয় হারুনের জানা ছিল না। দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করে হাসিনার দালালী করতে গিয়ে এখন হারুনের আম-ছালা দুটিই যাওয়ার পথে।
কারণ, ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় হারুন তার এমপি পদ হারাতে পারেন। আর উচ্চ আদালতে দণ্ড বহাল থাকলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি অংশ নিতে পারবেন না। কারণ সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন।
সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে কোনো ব্যক্তি এমপি নির্বাচিত হওয়া বা সংসদ সদস্য থাকার যোগ্যতা হারাবেন। আর জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো এমপিকে তার পদে থাকার অযোগ্য মনে হলে ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্পিকার বিষয়টি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হারুনের এমপি পদ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, তাকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে। এখন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। আপিলের রায়েও তিনি বেকসুর খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ৫ বছরের মধ্যে ৩ কমিয়ে যদি ২ বছরও সাজা বহাল রাখা হয় তাহলেও তার এমপি পদ থাকবে না। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলেই এমপি পদ চলে যাবে।