পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি থেকে মমতা ব্যানার্জি ও তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাতের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বিজেপির সভাপতি অমিত শাহের রাজ্য সফরের প্রাক্কালে এ ঘোষণা দিলেন দলের আঞ্চলিক নেতা দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গে তিন দিনের সফরে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সফরের আগে তিনি ঘোষণা দেন, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখেই ‘লং জাম্প’ দিতে হবে। মঙ্গলবার নকশালবাড়িতে অমিত শাহ ‘বুথ চলো’ কর্মসূচিতে অংশ নেন। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি বাগডোগরায় পৌঁছেন। এরপর শিলিগুড়ি থেকে রওনা দেন নকশালবাড়ির উদ্দেশে। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েতে বিজেপির একমাত্র পঞ্চায়েত সদস্য সাধনা মণ্ডলের তিনতলা বাড়িতে ওঠেন অমিত শাহ। কথা বলেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। এরপর ইনডোর স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে নৈশভোজ সেরে পদাতিক এক্সপ্রেস ধরে রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশে। অমিত শাহের নেতৃত্বে মহামিছিল হবে রাজ্যজুড়ে।
গত ১১ এপ্রিল একটি ধর্মীয় সংগঠনের ডাকা হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পুলিশের লাঠি চালানোর প্রতিবাদে সোমবার সিউড়িতে মিছিল করে বিজেপি। এ দিনের মিছিলে লোক এসেছিল গোটা জেলা থেকেই। মিছিলে বিজেপির স্থানীয় নেতা কৈলাস বলেন, ‘দিদির তো অর্ধেকের বেশি মন্ত্রী জেলে যাবেন! বিজেপি রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করবে।’ এক ধাপ এগিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ হুঙ্কার ছাড়েন, ‘আমরা গুণ্ডাগিরির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। তার জন্য যদি তলোয়ার ধরতে হয়, গলা ধরতে হয়, বন্দুক ধরতে হয় তা-ই ধরব!’
তবে এসব হুঙ্কার উড়িয়ে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত। তিনি পাল্টা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাইরে থেকে এসে অনেকে অনেক কথা বলেন। মাঠে নেমে করে দেখান!’ তিনি আরও বলেন, ‘কার পিঠের ক’টা চামড়া ওরা তুলেছেন, জানি না। নিজেদের পিঠের চামড়া থাকবে কিনা, দেখুন!’ আর দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘গর্জন করাই সার! বাংলায় বিজেপির কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
অন্যদিকে, কুচবিহারে কেপিপির সভায় বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, তার কাছে ধর্ম মানে ভালোবাসা, ধর্ম মানে শান্তি। বিজেপি দাঙ্গাবাজ পার্টি । ধর্মের মাধ্যমে তারা হিংসা ছড়ায়। গরুর জন্য পরিচয়পত্র নিয়েও বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘গরুর আইডি কার্ড কি হিংসা ছড়ানোর জন্য?’
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post