মঙ্গলবার, অক্টোবর ২১, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home রাজনীতি

দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা আগেই হয়েছিলো

এপ্রিল ১৯, ২০১৭
in রাজনীতি
Share on FacebookShare on Twitter

বাংলাদেশে ২০০৭-২০০৮ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলোর প্রস্তুতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হবার আগেই সম্পন্ন করা হয়েছিল।

ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন ঐ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।

বিবিসি বাংলার সাপ্তাহিক আয়োজন ‘এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকার’ অনুষ্ঠানে মি. হোসেন বলেন, তৎকালীন সামরিক কর্মকর্তারা রাজনীতিবিদদের ‘শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন।

মইনুল হোসেন বলেন, “একটা জিনিস আমি এখন বলতেছি আপনাকে, সেটা আপনি ভেরিফাই (যাচাই) করেন সাংবাদিক হিসেবে, দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হয়েছে, এ মামলাগুলোর কাগজপত্র আগে থেকেই তৈরি ছিল। নাইনটি-নাইন পার্সেন্ট। একটা হয়তো হইতে পারে .. একমাত্র ঐ যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাস্টের একটা ব্যাপার নিয়ে। ঐটা মনে হয় তারা নতুন করেছে.. সেটা ভিন্ন কথা।”

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে অবশ্য দেখা যাচ্ছে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর এর আগে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সংখ্যা ছিল নয়টি।

এছাড়া বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির অভিযোগে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

 

ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন

 

তৎকালীন সেনা কর্মকর্তাদের মনোভাব উল্লেখ করে মইনুল হোসেন বলেন, তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিতে চেয়েছিলেন।

মি. হোসেন বলেন, “তাদের (সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের) একটা বক্তব্য ছিল যে ব্যারিস্টার সাহেব আমরা তো বেশি দিন থাকবো না, কিন্তু একটা শিক্ষা দেয়া উচিত যে নো বডি ইজ অ্যাভাব ল (কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।) – সে প্রাইম মিনিস্টার হোক আর প্রেসিডেন্ট হোক। সে হিসেবে তাদের একটা অ্যাটিটিউড কাজ করছে। এটা আমি অস্বীকার করবো না।”

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাগুলো আদালত বাতিল করে দেয়। এছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে যে মামলা হয়েছিল, সেগুলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রত্যাহার করে নেন মামলার বাদীরা।

তবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো এখন চলছে।

মইনুল হোসেন জানান, সেই সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে যারা উপদেষ্টা ছিলেন তারা ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার’ লক্ষ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার প্রতি মনোনিবেশ করেছিলেন। কিন্তু সেনা কর্মকর্তারা কথিত দুর্নীতির বিষয়ে বেশি মনোনিবেশ করেন।

একটা ধারনা রয়েছে যে খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাদের গ্রেফতারের পেছনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

এক বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০০৮ সালে উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মি. হোসেন।

রাজনৈতিক মহলে তখন গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল যে একটি বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মইনুল হোসেন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

কিন্তু মি. হোসেন বলছেন, এ ধরনের ধারণা সত্য নয়। দ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তিনি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন বলে দাবী করেন তিনি।

তিনি বলেন, “যেহেতু আমি সে সময় রাজনীতি নিয়ে কথা বলতাম … তারা (রাজনীতিবিদরা) মনে করেছে যেহেতু দুর্নীতির মামলা হচ্ছে সেটা ব্যারিস্টার সাহেব করতেছে। আই ওয়াজ সিরিয়াসলি মিসআন্ডারস্টুড (আমাকে সাংঘাতিক রকম ভুল বোঝা হয়েছিল)। আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল।”

উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় অবশ্য সামরিক বাহিনীর পুরো সহায়তা পেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন মইনুল হোসেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

Save

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

কী বার্তা দিয়ে গেলেন জাতিসংঘের মহাসচিব?

মার্চ ১৬, ২০২৫
Home Post

বিপ্লব, গণঅভ্যুত্থান এবং কাঙ্ক্ষিত করণীয়

আগস্ট ১২, ২০২৪

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অসুরের মুখে দাঁড়ি-টুপি : মুসলিম বিদ্বেষে সীমা ছাড়াল ভারত

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD