রেজাউল করিম রনি
শাহবাগের পরাজিত শক্তি কৌতুককর অবস্থায় পড়েছে। তেতুল বনে বসন্ত নেমে আসাতে ঘোর আন্ধার দেখা দিছে প্রগতীশীল জঙ্গি শিবিরে।
শাহবাগে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের নামে বিরানী যুদ্ধ কিছুটা সাড়া জাগালেও মূর্তিযুদ্ধ পুরাটাই ফ্লপ। প্রথম আলো ম্যাশিন নন্দী ( লিটন নন্দী) ও কয়েক জন বিকৃত মস্তিস্কের বামদের মিছিলকে যে ভাবে গণ আন্দোলন বলে কাভারেজ দিছে এবং অশিক্ষিত বুদ্ধিজিবিরা যেই ভাবে চেতনা গেল গেল বলে কক কক করছে তাতে প্রশ্ন দেখা দিছে, ৭১ এর যুদ্ধে মূর্তির কী ভূমিকা ছিল? শাহবাগি কর্মির চেয়ে ক্যামেরার সংখ্যা বেশি ছিল। ঢাকাতে পানি সংঙ্কট দেখা দেওয়াতে এবং খরচ কমানোরা জন্য লোডশেডিং উন্নয়নের জোয়ারের ফলে দেখা গেছে চার/পাঁচ জন বামবাজ পুলাপান গরম থেকে বাঁচতে পুলিশের দেয়া পাণিতে গোসল করছে, মিডিয়া যেটাকে লিখেছে জনপ্রতিরোধ, এটা নাকি গণ আন্দোলন? মিডিয়া পুরাই মূর্তি-খোর।
অন্যদিকে হেফাজত যদি মনে করে দেশে মদিনা সনদের শাসন চালু হয়ে যাবে তাদের দাবিতে, তবে ৫ মের চেয়ে কঠিন মাইর খাওয়ার জন্য তৈরি হতে হবে। সামনের নির্বাচনে হেফাজত যদি নৌকায় ভরসা না রাখে তাইলে মদিনা সনদের আসল রহস্য দেখতে পাবে আশা করা যায়। আর যদি এক বাটি গোস্ত আর কয়েকটা চুলকানি টাইপের আব্দারে মজে এই ফ্যাসিবাদের জিকির জারি রাখে তবে পরিণতি হবে ফরিদ উদ্দিন মাসুদের মতো। জাতীয় ঈদের মাঠে বাছুর চড়তে দেখা গেছে। দেশের রাজনীতে মূর্তি কোন ইস্যু না। ফাঁদ।
এটা নিয়া ক্যাচলাবেন না। এখন আন্দোলনের সময়। সামনে বাজেটের নামে অবৈধ সরকার যে মাতলামি শুরু করবে তার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের সময়। মূর্তিযুদ্ধ ও চেতনার দিন শেষ। এরা গণহত্যার উস্কানি দাতা ও দাদা ছিল ফলে ভাবমূর্তি হারায়ে এখন পাথরের মূর্তি ধরে বাঁচার হাস্যকর চেষ্টা করতেছে।
Rezaul Karim Rony এর ফেসবুক থেকে
Discussion about this post