গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে প্রতিদিন মিছিল হচ্ছে, মোবারকবাদ দেয়া হচ্ছে। এখানে একজনকে দু’কোটি কোটির টাকার জন্য জেল দেয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে তাকে জামিন দেয়ার কথা। অথচ বলা হচ্ছে রায় সংশোধন করা হচ্ছে। অবাক লাগছে। রায় দেয়া হয়ে গেছে তবে কপি দেয়া যাচ্ছে না, কারণ কপি সংশোধন করা হচ্ছে। তিনি দুই কোটি টাকার জন্য যদি সাড়ে ছয় শ’ পাতা লাগে, তাহলে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার জন্য কয় লাখ পাতা লাগবে? আর তা কত বছর লাগবে তা লিখতে? আর কয় বছর লাগবে তা সংশোধন করতে? আর তখন কয় বছর লাগবে এর কপি দিতে? এই যে কপি কপি দেব কপি দেব বলা হচ্ছে … কী প্রহসন হচ্ছে..। আইনকে নিয়ে খেলা করা হচ্ছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছাত্রসমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি একথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মানুষ কার্যকর গণতন্ত্র দেখছে না। তিনি বলেন, এরা যদি নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে থাকে তাহলে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না? কেন এ ব্যাপারে রাষ্ট্র নিশ্চুপ। এ ব্যাপারে কী কোনো মামলা শুরু হয়েছে- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশে যেভাবে হত্যা গুম চলছে তা নিয়ে সবাইকে মুখ খুলতে হবে। জজ সাহেবদের এ ব্যাপারে অসহায়দের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হলে কেন তারা দেশে গুম হত্যা অপহরণের বিরুদ্ধে কথা বলছেন না। তিনি বলেন, তারা যদি গুম হত্যার বিরুদ্ধে কিছু করতে না পারে তাহলে বেরিয়ে যাক ক্ষমতা থেকে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের সভাপতি আজম রূপু। সঞ্চালন করেন ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু।
বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর ( অব.) আব্দুর মান্নান এবং গণফোরাম নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, আওম শফিক উল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।
সূত্র: নয়াদিগন্ত