বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে রকেটগতিতে মামলা এগোচ্ছে অভিযোগ করে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিনি বলেছেন, কত মামলা ঝুলে আছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে মামলা এগুলো রকেটগতিতে ছুটছে। এতে কি ন্যায়বিচার হবে?
বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে অসমাপ্ত বক্তব্যকালে এ কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া বলেন, আগামী নির্বাচনে আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করতেই ক্ষমতাসীনরা একটি নীলনকশা প্রণয় করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে পৌঁছান তিনি।
আদালতে প্রথমে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দেন তিনি।
এর পর দুপুর ১টার দিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দিতে শুরু করেন তিনি।
এদিকে আদালতে হাজিরা দিতে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি তার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের উদ্দেশে বের হন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর দুর্নীতির দুই মামলায় দুই লাখ টাকা মুচলেকায় শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই দিনই তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে এক ঘণ্টা বক্তব্য দেন।
পরে ২৬ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দ্বিতীয় দিনের মতো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ ছাড়া ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post