বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটা জনগণেরও প্রত্যাশা, আমাদেরও প্রত্যাশা। জাতীয় ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা চাই, সব দল নির্বাচনে আসুক। আমাদের অনুরোধ- প্লিজ নির্বাচন বয়কট করবেন না।’
সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বিএম মোজ্জাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ড. হাছান মাহমুদ, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আফজাল হোসেন, শাম্মী আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, অসীম কুমার উকিল, হারুনুর রশীদ, রোকেয়া সুলতানা, আমিনুল ইসলাম আমিন, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে বিএনপি নেত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (সুষমা স্বরাজ) বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সাথে দেখা করেছেন। বিএনপির সাথে দেখা করে, আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণে হওয়ার কথা বলেছেন। তাতে ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আশাবাদী হয়েছেন। আমরাও সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নিবার্চন চাই।
সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ ২৫ সিট পাবে-মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা কি ২৫ সিট দেয়ার মালিক? কার ভাগ্যে কতটি সিট তা ঠিক করবেন আল্লাহ।
জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, আমরা সেনা মোতায়নের বিরুদ্ধে নই। আমাদের বক্তব্য হলো- সেনা মোতায়েন প্রয়োজনে হলে, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন কোথাও করতে চাইলে তা করতে পারে। আমরা বিরোধিতা করিনি।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সুষমা স্বরাজের বক্তব্যে নিজেদের আশাবাদের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি যে আশ্বাস দিয়েছেন তাতে আমরা আশাবাদী। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতেই হবে। তিনি কোনো দ্বিধা না করেই কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়নে জোর অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সূত্র: নয়াদিগন্ত
Discussion about this post