নীলফামারীতে বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা এমপিকে সহায়তা করতে যাওয়ায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর অনুষ্ঠান পণ্ড হয়েছে। শনিবার এ ঘটনা ঘটার পর এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, নীলফামারী-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রকাশ্য জনসভায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু।
সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ৫ জন স্বাক্ষী হাজির করতে পারলে তিনি দলীয় পদ ছেড়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এসময় বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন খোদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার দুপুরের পর জেলার জলঢাকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আনছার আলী মিন্টুর চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার পর পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে উঠলে অবস্থা বেগতিক দেখে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মান বাঁচাতে সভায় জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী’র উপস্থিতি ও অনুষ্ঠানে কেন তিনি ভাষণ দিয়েছেন তাকে দায়ী করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
এদিকে বিভিন্ন টেলিভিশনের খবরে জামায়াত নেতাকে জড়িয়ে মন্ত্রীর অসত্য বক্তব্যই প্রচার করা হচ্ছে। টেলিভিশনের খবরে মূল ঘটনাকে আড়াল করে বলা হচ্ছে অনুষ্ঠানে জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে অতিথি করায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অনুষ্ঠান থেকে চলে এসেছেন।
আনছার আলী মিন্টু বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইকালে সংসদ সদস্য কোনও প্রকার কাগজপত্র দেখাতে না পারায় প্রথমে ওই কমিটি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি হিসেবে সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে বাদ দেন। সভাপতির পদ হতে পরবর্তীতে তিনি কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা -এ প্রশ্ন করেন মন্ত্রীর কাছে।
এ সময় সভায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমকে ঘিরে। এ অবস্থায় অনুষ্ঠানের পরিস্থিতি মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য’র প্রতিকূলে চলে যায়।
অবস্থা বেগতিক দেখে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মান বাচাতে সভায় জামায়াত সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী’র উপস্থিতি ও অনুষ্ঠানে কেন তিনি ভাষণ দিয়েছেন তাকে দায়ী করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
এ সময় মন্ত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল হক প্রধানকে দুই দিনের মধ্যে বদলীর চ্যালেঞ্জ করেন। এ ব্যাপারে নীলফামারী-৩ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের কাছে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সূত্র: শীর্ষনিউজ (আংশিক সম্পাদিত)
Discussion about this post