বাংলাদেশের ইসলামি দলের সংখ্যা কত তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান আছে কিনা জানা নেই। তবে এটা বলা চলে যে, হকপন্থি ইসলামি দলের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। তরিকত ফেডারেশনের মত কিছু কথিত নামধারী ইসলামি দল আছে যেগুলো কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে গঠিত হয়েছে। সেগুলোকে হিসেবে ধরলে বাংলাদেশে ইসলামি দলের সংখ্যা কয়েকশ হতে পারে।
উপমহাদেশের কয়েকটি দেশে ইসলাম প্রচারকদের মধ্যে যে ধরনের দ্বান্দ্বিক মানসিকতা দেখা যায় পৃথিবীর আর কোথাও এমন নজির পাওয়া যায় না। প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্যে এধরনের অবস্থান নেই বললেই চলে। সেখানে যে যেমন দর্শন চর্চা করেন তারা তারটা নিয়েই দিনরাত লিপ্ত থাকেন। এখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ ও আশপাশের কয়েকটি দেশ। এর মধ্যে ভারত পাকিস্তান উল্লেখযোগ্য।
ভারতেও বিষয়টা খুব একটা নজরে পড়ে না। বাংলাদেশে দেখা যায় খুব সাধারণ একটা বিষয় পেলেই সেটাকে হাতিয়ার করে একে অপরের মানহানিকর দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। অথচ বিষয়টি আদতেই অতি সাধারণ যা সমাজ বাস্তবতায় সংগঠিত হওয়া খুব একটা অপ্রত্যাশিত নয়। মূল বিষয় হলো আমাদের ভেতর সেটাকে ছেড়ে দেয়ার মানসিকতা নেই।
কিছুদিন ধরেই তাবলীগ জামায়াত ও চরমোনাইয়ের মধ্যে চরম দ্বন্দ্বময় অবস্থা বিরাজ করছে। দ্বন্দ্বের সূচনা চরমোনাই নায়েবে আমির মুফতি সাইয়েদ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের একটি বয়ান থেকে।
ইউটিউব ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া বক্তব্যটিতে, তিনি দেশের বিভিন্নস্থানে তাবলীগের লোকজন কর্তৃক চরমোনাই কর্মীদের নিগ্রহের উদাহরন তুলে ধরে বলেন কি কারনে তাবলীগের ভাইরা আমাদের বিরোধীতা করেন?
মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম আরো বলেছেন, ‘আপনারা কেন আমাদের বিরোধিতা করেন, বিরোধিতা তো করবে লা মাজহাবীরা, বিরোধিতা করবে শিয়ারা, বিরোধিতা করবে নাস্তিক ও ইহুদিরা। আপনাদের আমাদের সাথে তো অমিল নেই।’
তিনি এটাও জোর দিয়ে বলেছেন, ‘তাবলীগের কিতাব ফাজায়েলে আমাল আমি অসংখ্যবার পড়েছি, অনেকে আমার ব্যাপারে এটাও বলেছেন, আপনি কি ফাজায়েলে আমালের হাফেজ হয়ে যাবেন? তো আমি তো এই কিতাবে কোনো এশকাল(সন্দেহ, সংশয়) দেখি না। কখনো তো কোনো সমালোচনার কিছু পাইনি।’
তাবলীগ জামাত কেন পীর মুরিদি দেখতে পারে না সেটা নিয়ে তিনি বলেন, ‘হজরত ইলিয়াস রহ. আল্লামা শফী রহ. এর কাছে বায়আত হওয়ার জন্য গেছেন, তিনি গঙ্গোহী রহ. এর শাগরেদ ছিলেন এবং খেদমতও করতেন, তিনি ইয়াহইয়া রহ. এর শাগরেদ ছিলেন এবং খেলাফতও গ্রহণ করেছেন। সবাই যদি পীর মুরিদি পছন্দ করেন বা গঙ্গোহী রহ. এর শাগরেদ হতে পারেন তাহলে তাবলীগি ওলারা কেন পীর মুরিদির কথা শুনতে পারেন না।’
বিস্তারিত উপরের ভিডিওতে দেখুন।
Discussion about this post