অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক:
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। এই সমাবেশে ৫ লাখ ছাত্র জমায়েত করার টার্গেট ছিল ছাত্রলীগের। এখন প্রশ্ন উঠেছে এই ৫ লাখ ছাত্র তারা কোথায় পেলো? কারণ এই ছাত্রলীগ এখন আর আগের ছাত্রলীগ নাই। এটা এখন এক প্রকার জঙ্গি, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, ধর্ষক, চোর-ডাকাত, চাদাবাজ, টেন্ডারবাজ, নারী নির্যাতনকারী, খুনি, ছাগল চোর ও মানুষের জমি দখলকারী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। তাদের ডাকে এখন আর কোনো সাধারণ ছাত্র সাড়া দেয় না। ছাত্রলীগ মানেই সন্ত্রাসীদের আড্ডাখানা। ছাত্রলীগ নামের জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সমাবেশে এসে কেউ সন্ত্রাসীদের খাতায় নিজেদের নাম লেখাতে চাইবে না।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ এই সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়ার পরই সারাদেশে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছিল। তাদের সমাবেশে আসার মত সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে এমন আগ্রহ তারা দেখতে পায়নি। কিন্তু ৫ লাখ ছাত্র সমাবেশে আনতে না পারলে আবার ইমেজ সংকটে পড়বে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপরই কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের সমাবেশে আসতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।
এছাড়া যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল বা ছাত্রাবাস আছে সেই হল বা ছাত্রাবাসের ছাত্রদেরকেও অলিখিত নোটিশ দিয়েছে যদি তারা সমাবেশে না আসে তাহলে পরবর্তীতে সমস্যা হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বা ছাত্রাবাসে থাকতে হলে শুক্রবারের সমাবেশে অবশ্যই তাদেরকে আসতে হবে।
তারপর আরেকটি বিষয় হল-এদেশের মাদরাসার ছাত্ররা কখনো এই ছাত্রলীগের নাম শুনতে পারে না। কিন্তু বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্রদেরকেও অলিখিত নোটিশ দিয়েছিল এই সমাবেশে আসার জন্য। এমনকি মাদরাসা ছাত্রদেরকে ছাত্রলীগ নেতারা সামাজিক মাধ্যমে সমাবেশের প্রচার করতেও বাধ্য করেছিল।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাদরাসা হল তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা। দেখা গেছে কিছু দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ওই মাদরাসার কয়েকজন নাবালক ছাত্রের একটি ভিডিও ভাসতেছে। যেখানে তারা ছাত্রলীগের সমাবেশে যাওয়ার জন্য অন্যদেরকে উৎসাহীত করছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রলীগের নেতারা এই শিশুদেরকে দিয়ে জোরপূর্বকভাবে এই ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছে। এটা নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
অনেকেই বলছেন, ছাত্রলীগ এখন দেউলিয়া হয়ে গেছে। মানুষ এখন আর ছাত্রলীগের নাম শুনতে পারে না। এজন্যই তারা মাদরাসার শিশুদের দিয়ে সমাবেশের প্রচারণার জন্য এমন ভিডিও তৈরি করেছে। ছাত্রলীগের নেতারা ভাল করেই জানে যে সাধারণ ছাত্ররা সতস্ফূর্তভাবে কেউ এই সমাবেশে আসবে না। এজন্য তারা উপস্থিতি বেশি দেখানোর জন্য জোরপূর্বকভাবে সাধারণ ছাত্রদেরকে সমাবেশে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
Discussion about this post