ব্যাক্তি হিরো আলমের মত দুর্বল মানুষের উপর যে ভয়ঙ্কর হামলা আ.লীগ করেছে তা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পাপ আ.লীগের মধ্যে এখনও লুকায়িত রয়েছে।
হিরো আলমকে আ.লীগ ব্যবহার করছে। কোথাও নির্বাচন হলে যখন অন্য কোন দল সেখানে অংশগ্রহণ করছে না ঠিক তখনই হিরো আলমকে বেশ প্রয়োজন মনে করছে আ.লীগ। এবং সেখানে সিস্টেম অনুযায়ী হিরো আলমকে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। কারণ, বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন যেমন জমবে না, তেমনিভাবে জাতিকে দেখাতে হবে যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকা স্বত্বেও আ.লীগ জয় লাভ করেছে। এবং নানা নাটকীয়তায় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করে থাকে আ.লীগ।
বগুড়াতে নিজ এলাকায় নির্বাচন করে সেখানেও আ.লীগের হাতে মার খেয়েছে হিরো আলম। তবে ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনের শেষ সময়ে যেভাবে আলমকে মারা হয়েছে তা ঢাকার তুলনায় কিছুই না। মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী হায়েনারা যে আক্রমন চালিয়েছে তা খুবই জঘন্য।
ক্ষমতার লোভে আ.লীগ আগে ভোট চুরি করত আর এখন সংসদ সদস্যদের মত প্রার্থীদেরও মারধর করে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশও বিক্রি করে দিতে পারে আর তার দলের নেতা কর্মীরা সাধারণ হিরো আলমের মত একজন প্রার্থীকে মারধর করছে, এটা খুব বড় অন্যায় হয়ে গেছে বলে মনে হয় না। আ.লীগের প্রার্থী আরাফাত শেষ পর্যন্ত হতাশ হয়ে ঠিক তার নেত্রীর মতই হিরো আলমের উপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
১৭ আসনের নির্বাচনের ডিউটিতে থাকা এক পুলিশ অফিসারকে ইত্তেফাকের সাংবাদিক হিরো আলমকে মারার ব্যাপারে জানালে তিনি বলেন, “আমার দায়িত্ব ভেন্যুর বাইরে না, ভিতরে।” আর এদিকে বরিশাল সিটির মত হয়তো সিইসি বলবেন “হিরো আলমকে তো মারা হইছে সে তো ইন্তেকাল করে নাই।”
হিরো আলম সরকারের সহযোগী হোক আর বিরোধী দলের সহযোগী হোক সেটা বড় কথা না। কথা হলো নির্বাচনে দাড়ানো একজন সংসদ সদস্য প্রার্থীরে উপর আ.লীগের হামলার স্টাইল কত হিংস্র ও জঘন্য হতে পারে তা দেশবাসী আবারও দেখেছে। আ.লীগের নাম মানুষ মুখে নেয়া থাক দূরের কথা, নামটি আর এদেশের মানুষ শুনতেও চায় না। কারণ এটি একটি জঘন্য পাপের নামে পরিনত হয়েছে।
Discussion about this post