আজ ২২ মার্চ! ফিলিস্তিনের মহানায়ক শায়খ আহমদ ইয়াসিনের ১৯ তম শাহদাতবার্ষিকী। তাঁর ছিলেন মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের প্রতিষ্ঠাতা। শায়খ আহমেদ ইয়াসিনের অনেক পরিচয়। কিন্তু সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি হামাস প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি গাজায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাধারে ইসলামী ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, ফিলিস্তিনের শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক এবং ধর্মীয় নেতা। একজন সাধারণ মানুষ থেকে তিনি হয়েছেন অসাধারণ। তাঁর জীবন সিনেমার নায়কের মতো। একজন পঙ্গু ব্যক্তি হয়েও তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহিনীর জম। ইসরাঈল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফিলিস্তিনী মুসলিমদের উপর ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে আসে। আর এই দুর্যোগের বিরুদ্ধে একজন প্যরালাইসিস আক্রান্ত মানুষ হয়েও দাঁড়িয়েছেন কঠোরভাবে। তিনি সারাবিশ্বের মুসলিমদের দেখিয়ে দিয়েছেন সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করা জন্য সাহস লাগে, লাগে দৃঢ় মনোবল ও রবের প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস। তিনি মুসলিমদের শতাব্দিশ্রেষ্ঠ নায়ক।
১৯৪৮ সালের যুদ্ধের পর পরিবারের সাথে গাজার শরণার্থী শিবিরে আসেন। মাত্র বারো বছর বয়সে বন্ধুর সাথে খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন এবং পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তিনি পড়াশোনার জন্য আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হলেও পরবর্তীকালে শারিরীক অক্ষমতার কারণে সেখানে পুরো পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। এছাড়া তিনি মসজিদে ইমামতি করেতেন এবং খুতবাও দিতেন। তার বলিষ্ঠ যুক্তি এবং উপস্থাপন ভঙ্গী তাকে ফিলিস্তিনের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।
১৯৬৭ সালের আরব ইসরাইল যুদ্ধের পর শায়খ তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের দিকে উদ্বুদ্ধ করতে শুরু করেন। তিনি এসময় ইসলামী সমাজ সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে অবরুদ্ধ জনগন, আহত এবং বন্দীদের জন্য ত্রাণ ও সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে তিনি ফিলিস্তিনী জনগণের ভালোবাসার মানুষে পরিণত হন।
১৯৮৩ সালে তিনি প্রথমবারের মত গ্রেফতার হন এবং ইহুদী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণে জনগণকে উস্কানী দেয়ার অভিযোগে তার ১৩ বছরের জেল হয়। ১৯৮৫ সালে তিনি ছাড়া পান। ১৯৮৭ সালে তিনি হামাস প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম দিকে হাসপাতাল, এনজিও, স্কুল, লাইব্রেরি গঠনের মাধ্যমে জনগনের মন আকর্ষণ করলেও ধীরে ধীরে হামাস ইহুদীবাদীদের বিরুদ্ধে একটি স্বশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মত গ্রেফতার হন। ১৯৯৭ সালে ছাড়া পেয়ে দ্বিগুন উদ্যমে প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আহমেদ ইয়াসিন বিশ্বাস করতেন যে, ইসরাইলের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে এবং পুরো ফিলিস্তিনের প্রতিটি ইঞ্চি জমিই মুসলমানদের। আরব নেতাদের ফিলিস্তিন-ইসরাইল চুক্তিতে তার আস্থা ছিলনা। এর চেয়ে অস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধেই তিনি আগ্রহী ছিলেন।
জন্ম ও শিক্ষা
শায়খ আহমাদ ইয়াসিন ১৯৩৬ সালের জানুয়ারি মাসে আসকালান শহরের উপকণ্ঠে জুরাহ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম শায়খ আহমেদ ইসমাইল হাসান ইয়াসিন। তার পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ ইয়াসিন এবং মাতার নাম সা’দা আল হাবেল। শিশু অবস্থায়ই তিনি তার পিতাকে হারান। লোকে তাকে চিনত তার মাতার নামের সাথে মিলিয়ে আহমাদ সা’দা হিসেবে। ইয়াসিনরা ছিলেন তার চার ভাই এবং দুই বোন। ১৯৪৮ সালে তাদের গ্রাম ইসরাঈলের দখলে চলে গেলে দশ বছরের বালক আহমেদের জায়গা হয় গাজার আল শাতিঈ শরণার্থী শিবিরে। শরণার্থী শিবিরের প্রচন্ড কষ্টের মধ্যে এই বালকের মধ্যে ইসরাইলীদের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ এবং ফিলিস্তিনীদের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয় যা পরবর্তীতে তার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিবির জীবনের দু’বছরের মাথায় যখন তার বয়স মাত্র বারো, বন্ধু আব্দুল্লাহর সঙ্গে কুস্তি খেলতে গিয়ে মেরুদণ্ডে প্রচণ্ড আঘাত পান। টানা পঁয়তাল্লিশ দিন প্ল্যাস্টার করে রেখেও শেষ রক্ষা হয়নি। আহমেদ ইয়াসিন সারা জীবনের জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান। পঙ্গু হয়ে যাবার পরেও তিনি উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য একাগ্র মানসিকতা নিয়ে ইসলামী জ্ঞানের তীর্থস্থান কায়রোর আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ক্রমান্বয়ে শরীরের অবনতি ঘটায় তিনি গাজায় ফিরে আসেন। তবে এতে তার জ্ঞানের প্রতি স্পৃহা বিন্দুমাত্র কমেনি। বাড়ি বসেই তিনি পড়ে ফেলেন দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি আর ধর্মের নানা বিষয়। আধুনিক নানা বিষয়ে তিনি বড় মাপের পণ্ডিত হয়ে ওঠেন।
পেশাগত কাজ
এসময় তিনি এলাকার মসজিদে জুমার নামাজ পড়ানো শুরু করেন। প্রখর যুক্তি এবং মানুষকে আকৃষ্ট করার যোগ্যতার কারনে তার খুৎবা এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে তরুণরা তার কথা বার্তায় খুঁজে পায় ফিলিস্তিনী জাতির মুক্তির মন্ত্র। এভাবে নানা এলাকার মসজিদে মসজিদে লোকে তাকে ডাকতে থাকে। এর পাশাপাশি রোজগারের জন্য একটি স্কুলে আরবী ভাষা বিষয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। শিক্ষক হিসেবেও ছাত্রদের মধ্যে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তার ছাত্রদের মনেও তিনি বপন করে দেন ইসরাইল বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৬০ সালে আহমাদ ইয়াসিন হালিমা নামে তার একজন আত্নীয়াকে বিয়ে করেন। তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। শায়খ আহমাদ ইয়াসিনের ছেলে মেয়ের সংখ্যা হল এগারোজন। খুব সাধাসিধে জীবনযাপনকারী এই নেতা গাজায় তিন রুমের একটি এপার্টমেন্টে বাস করতেন।
প্রতিরোধ আন্দোলন ও হামাস প্রতিষ্ঠা
১৯৪৮ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের ফলে প্রায় ৭ লক্ষ ফিলিস্তিনীর ওপর নেমে আসে দুর্যোগ। একে তারা নাম দেয় নাক্ববা। এই দুর্যোগের শিকার ছিলেন আহমেদ ইয়াসিন নিজে। তার পুরোকে গ্রামকেই ইসরাঈলী বাহিনী গুড়িয়ে দেয়। এজন্য এই গ্রামটির বর্তমানে অস্তিত্ব পাওয়া যায়না। খুব কাছ থেকে ফিলিস্তিনীদের দুর্দশা দেখবার সুযোগ পাওয়ায় তিনি এর থেকে পরিত্রাণ খুঁজে ফেরেন। ১৯৫৯ সালে দ্বিতীয়বার মিশরে গিয়ে ইখওয়ানের আন্দোলনের সাথে তার পরিচয় ঘটে। ইখওয়ানের কর্মকাণ্ড তাকে দারুণ আকৃষ্ট করে। ফিলিস্তিন ফিরে এসে তার দাওয়াতী কাজ অব্যহত রাখেন। এসময় তিনি বলেন,
‘ফিলিস্তিনের সমস্যা আমাদের, আমাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে। অস্ত্র ধরে প্রতিরোধে নামতে হবে। আমাদেরকে আরবের কোন দেশ বা আন্তর্জাতিক কেউ সাহায্য করতে আসবেনা।’
১৯৬৭ তে আরব-ইসরাঈল যুদ্ধের সময় গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিন দখল করে ফেলে ইসরাঈল। শায়খ আহমেদ ইয়াসিন এই জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং আল আকসার পুনরুদ্ধারের জন্য আহ্বান জানাতে থাকেন। মসজিদে মসজিদে তিনি খুতবা দিতে থাকেন। যুবকদের তিনি আহ্বান জানান নিজের অধিকার বুঝে নিতে। তার ভাষণে জাগরণের শুরু হয়। দলে দলে যুবকেরা যোগ দিতে থাকল তার এসব সমাবেশে।
১৯৭৮ সালে ৪৯ বছর বয়সে শায়খ আহমেদ ইয়াসিন ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য ‘আল মুজাম্মা আল ইসলামী’ নামে একটি ইসলামী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যার নামের বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ইসলামী সমাজ সংস্কার সংস্থা। এই সংগঠন ব্যাপকভাবে জনসেবা এবং সামাজিক কাজ করতে লাগল যেমন ফ্রি ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা, ফ্রি স্কুলিং, মসজিদ এবং লাইব্রেরি নির্মাণ। ইসরাঈলের তখনকার নেতারা আহমেদ ইয়াসিনকে সেভাবে বাধা দেয়নি। ধীরে ধীরে ইসরাঈলের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাড়ায় আহমাদ ইয়াসিনের কর্মকান্ড। ১৯৮০ সালে এই সংগঠন পরিবর্তিত হয়ে আল মুজাহিদ আল ফিলিস্তিনিয়্যুন সংগঠন গঠিত হয়। ‘মাজদ’ এই সাংকেতিক নামে ইসরাইলীদের উপর হামলা চালাতে থাকে তার শিষ্যরা। চিন্তাগত দিক থেকে আহমেদ ইয়াসিনের সংগঠন মিশরের ইখওয়ানের অনুরূপ।
শেখ ইয়াসিন ১৯৮৭ সালে সহযোগী মুজাহিদ ও সমমনাদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘‘হামাস’’ নামের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন। হামাস শব্দের অর্থ ‘উদ্দীপনা’ । ইন্তিফাদা বা গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হামাসের মসজিদ-কেন্দ্রিক তৎপরতা ছিল ব্যাপক বিস্তৃত। ১৯৮৮ সালে গৃহীত হয় “হামাস চার্টার” যার লক্ষ্য হলো অধিকৃত ফিলিস্তিন থেকে দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো। হামাসের সামরিক শাখাও গড়ে তোলা হয়। এই শাখা দখলদার বিরোধী সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। এই সংগ্রামের সময় ইয়াসিন ব্যাপক হুমকির সম্মুখীন হন এবং তার সহযোগী অনেক নেতা ইসরাঈলী ঘাতকদের হামলায় শহীদ হন।
প্রথম ইন্তিফাদা
আহমেদ ইয়াসিন ফিলিস্তিনীদের বোঝালেন আমাদের ভাগ্যের রাস্তা আমাদেরকেই খুলতে হবে। হামাসের নেতৃত্বে তিনি ডাক দিলেন প্রথম ইন্তিফাদাহ এর। ইন্তিফাদাহ মানে গণ-অভ্যুত্থান। হাতের কাছে যা পাওয়া যাবে তাই নিয়েই ইসরাঈলীদের প্রতিরোধে তিনি জনগণকে উৎসাহিত করতে থাকেন। শিশুরাও পর্যন্ত তার ডাকে রাস্তায় নেমে আসে। ইন্তিফাদাহ শুরুর এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি সৈন্যদের হাতে ৩১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়, আহত হয় ৭ হাজারের অধিক লোক, ১৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। তারপরেও অচিন্তনীয় প্রতিরোধের সম্মুখীন হয় ইসরাইলী বাহিনী যার পুরোভাগের নেতৃত্বই দিয়েছেন আহমদ ইয়াসিন। তিনি এই প্রতিরোধ সম্পর্কে বলেছেন, আমরা এই পথ বেছে নিয়েছি, হয় বিজয় না হয় মৃত্যুর মাধ্যমে এর শেষ হবে। পরবর্তীতে তার এই কথা ফিলিস্তিনী জনগন গণজাগরণের মূলমন্ত্র হিসেবে মনে করতে থাকে।
কারাজীবন
মিসরে থাকা অবস্থায় ইখওয়ানুল মুসলিমীনের সাথে তার সম্পর্ক থাকায় মিসর সরকার তাকে জেলে পাঠায়। ১৯৮৩-তে ইজরাইলীদের হাতে প্রথম বারের মত গ্রেপ্তার হন শাইখ আহমেদ ইয়াসিন। ইজরাইলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরার এবং জনগনকে উস্কানীর অভিযোগে তাকে ১৩ বছরের জেল দেয়া হয় তাকে। ১৯৮৫ সালে গ্রেপ্তারের এক বছরের মাথায় বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি মুক্তি পান। এই বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল Popular Front for the Liberation of Palestine General Command নামক একটি প্রতিরোধ সংগঠন এবং ইজরাইল সরকারের মধ্যে, ফিলিস্তিনের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আহমেদ জিবরিল।
১৯৮৯ সাল, প্রথম ইন্তিফাদার দুবছর পর আবার গ্রেপ্তার হন হামাসের এই প্রতিষ্ঠাতা। এইসময় তাকে বিভিন্নরকম নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ আছে। এবার ৪০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয় তাকে। প্রধান অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে ইজরাইলী সৈন্যদেরকে হত্যা, কিডন্যাপ এবং স্বশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেওয়া। জেলখানায় তার শরীরের ক্রমাবনতি ঘটতে থাকে। আস্তে আস্তে ডান চোখের দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়। আক্রান্ত হন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে। পক্ষাঘাতগ্রস্থ পিতাকে চলাফেরায় সাহায্য করার জন্য জেলখানায় তাকে সহযোগীতা করতেন তার দুই ছেলে। আট বছর জেল খাটার পরে ১৯৯৭ সালে জর্দানের বাদশাহ হুসাইনের সহযোগীতায় মুক্তি পান আহমদ ইয়াসিন। এরপরে দফায় দফায় তাকে গৃহবন্দীও করে রাখা হয়।
শাহদাত
বেশ কয়েকবার হত্যা চেষ্টা চালানোর পরে ২০০৪ সালের ২২ মার্চ ভোরে বাসা থেকে ১০০ মিটার দূরের মসজিদে হুইল চেয়ারে করে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের দিকে যা্ওয়ার সময় হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে শেখ আহমেদ ইয়াসিনকে হত্যা করে ইসরাঈল। আমরা হারিয়ে ফেললাম আমাদের সেরা নায়ককে, আমাদের সাহসের বাতিঘরকে। সেদিন তার সাথে তিনজন বডিগার্ডসহ মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বেরুনো মুসল্লিদের মধ্যে থেকে আরো ৫ জন মারা যান। গুরুতর আহত হয় প্রায় ১৭ জন। যাদের মধ্যে শহীদ ইয়াসিনের দুই পুত্রও ছিল। খ্রিষ্টান-মুসলমান নির্বিশেষে দু’লাখ লোকের ঢল নেমেছিল তার শেষকৃত্যে। আব্দুল আজিজ আল রানতিসি তার মৃত্যুর পর হামাসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
Discussion about this post