অ্যানালাইসিস বিডি
পুলিশের আইজি বেনজির আহমদ ও র্যাব ডিজি আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীসহ ৭ কর্মকর্তা ও র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মূলত শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথম পদক্ষেপ। যদিও শেখ হাসিনার দলের নেতা ও মন্ত্রীরা বুঝাতে চাচ্ছে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তেমন কিছু না। অথছ তাদের অন্তরে কাপুনি ধরে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের কয়েক নেতা ও মন্ত্রী ঘুম-খাওয়া বাদ দিয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসসহ যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে ধরণা দিচ্ছে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে সেটা এখন আরও তীব্র হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরিবর্তে বাইডেন প্রশাসন শেখ হাসিনার কণ্ঠনালীকে আরও চািপয়ে ধরছে।
শুধু বেসামরিক বাহিনী নয়, বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীকেও অনুদান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতদিন তারা এসব অনুদানের কোনো হিসাব নিতো না। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সামরিক অনুদানের আইনে তিনি সংশোধনী এনেছেন। এখন থেকে সামরিক অনুদান প্রাপ্ত প্রত্যেকটি দেশকে এই টাকা ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে হবে।
জানা গেছে, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞার এবার বাংলাদেশের কাছে সামরিক অনুদান ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অনুদানের টাকা বাংলাদেশ সরকার কোনো খাতে ও কিভাবে খরচ করেছে সব হিসাব দিতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিসাব দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে তাগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল-এখন থেকে নতুন করে কোনো অনুদান আনতে হলে-যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা চুক্তি করতে হবে। নতুন আইন অনুযায়ী-যে বাহিনীর পেছনে অনুদানের অর্থ ব্যয় করা হবে-সেই বাহিনীর বিরুদ্ধে যদি বেআইনি কোনো কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগ উঠে, গুম-খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে তাহলে অনুদান পাবে না।
এখন শেখ হাসিনাকে যদি সামরিক অনুদান আনতে হয় তাহলে মুচলেকা দিতে হবে যে, এই বাহিনীর দ্বারা কোনো আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড সংঘটিত হবে না।
এদিকে রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পর সামরিক অনুদানের হিসাব চাওয়ার বিষয়টি অনেক তাৎপর্য বহন করে। কারণ, র্যাবে সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা রয়েছে। যাদেরকে বেআইনি কর্মকান্ড করতে সরকার বাধ্য করছে। এছাড়া ডিজিএফআই হল সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা। কিন্তু শেখ হাসিনা ডিজিএফআইকে দিয়ে অনেক গুম-অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা বলণছেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এই বাহিনীকে শেখ হাসিনা এখন দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে নিজ দলের কর্মীদের মতো ব্যবহার করছে। এসব রিপোর্টও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে জমা হয়েছে। সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে যদি ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে জাতি সংঘ শান্তি রক্ষা মিশনেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে সেনাবাহিনী। আর এরকম কিছু ঘটার আশঙ্কা দেখা দিলে তখন শেখ হসিনাকে ক্ষমতা ছাড়া ব্যতীত আর কিছু করার সুযোগ পাবে না।
Discussion about this post