রুদ্র আহনাফ
বেগম খালেদা জিয়া এদেশের কোনো অপরিচিত ব্যক্তির নাম নয়। তার প্রথম পরিচয় হচ্ছে-তিনি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তার দ্বিতীয় পরিচয় হচ্ছে-তিনি বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান। তার তৃতীয় পরিচয় হচ্ছে-তিনি এদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এসব পরিচয়ের সাথে এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও তিনি সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার পর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। আর জনপ্রিয়তা যাচাই করলে এখনো তিনি বাংলাদেশের যেকোনো নেতানেত্রীর চেয়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেতা।
অথচ সেই খালেদা জিয়া আজ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্মম প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুশয্যায় পড়ে আছেন। দেশের সবচেয়ে উন্নত হাসপাতাল এভারকেয়ারের বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন-দেশে তার চিকিৎসা সম্ভব না। ভাল চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকেও বার বার বলা হচ্ছে-বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা না দিলে যেকোনো সময় তার দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে অনেক আকুতি মিনতি করা হচ্ছে।
দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর অনুমতি দিতে। দেশের বিশিষ্টজনেরাও দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী হাসিনা কোনোভাবেই খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে অনুমতি দিচ্ছে না।
২০১৭ সালে রেহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার পর শেখ হাসিনার জন্য তার ছেলে জয় মাদার অব হিউম্যানিটি নামে মোটা অংকের টাকা দিয়ে একটি উপাধি কিনেছিলেন। আর বলা হয়েছিল-আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা নাকি শেখ হাসিনার উদারতা দেখে এই উপাধি দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল-শেখ হাসিনার সেই মানবতা আর উদারতা আজ কোথায়? তিনি কি আসলেই মানবতার মা? তার বর্তমান কর্মকাণ্ড প্রমাণ করছে-শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত নিষ্ঠুর, হিংস্র ও নির্মমতার প্রতীক। কারণ, দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুশয্যায় পড়ে আছে-আর শেখ হািসনা এটা নিয়ে নানা ঢঙ্গের কথা বলছেন।
Discussion about this post