১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের হত্যাযঞ্জের ফলে পুরো বাংলাদেশ একটি বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের কথিত দাবিদার শেখ হািসনা দেশটাকে একটি জীবন্ত বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। দেশে যদিও মানুষ, গাছপালা ও বনভূমি আছে, কিন্তু এসব এখন এক প্রকার মৃতের মতো। দেশের ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত আছে, কিন্তু হাতগুলো শিকল পরা। নাড়াচাড়া করার কোনো শক্তি নাই।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শেখ হাসিনা ও তার দল এদেশের মানুষের সাথে ছলচাতুরি আর প্রতারণা করে আসছে। যখন যা খুশি তাই করছে। লুটপাট-দুর্নীতি করতে করতে রাষ্ট্রের কোষাগার একেবারে ফুতুর করে দিয়েছে। দেশ চালাতো দূরের কথা শেখ হাসিনার দুর্নীতিবাজরা এখন আর লুটপাটেরও টাকা পাচ্ছে না। রাষ্ট্রের প্রতিটি অর্থনৈতিক সেক্টরই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
দেখা গেছে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করে যখনই শেখ হাসিনা তার দলের নেতাদের লুটপাটের দরকার হয় তখনই তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন অজুহাতে এগুলোর দাম বাড়িয়ে শেখ হাসিনা জনগণের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
সর্বশেষ গত তিন দিন জ্বালানির দাম ও গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে সরকার যা করেছে তা কোনো সভ্য দেশের মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। কথিত মানবতার মা হাসিনার প্রতারণায় দেশের মানুষ একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী কোনো জিনিসের দাম বাড়াতে হলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে কথা বলতে হয়। বিশিষ্টজনদের মতামত নিতে হয়। কিন্তু সরকার কারো সাথে কথা না বলে রাতের আধারে হঠাৎ করেই ডিজেল-কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু এটা করেই শেখ হাসিনা ক্ষ্যান্ত হয়নি। বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য আবার পরিবহন মালিকদের দিয়ে সারাদেশে ধর্মঘট ডাকিয়েছে। ছলে বলে কৌশলে জনগণের চাপিয়ে দিয়েছে অতিরিক্ত ২৭ শতাংশ বাস ভাড়া।
সরকারের মন্ত্রীরা বলেছিল, তেলের দাম বাড়লেও বাস ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নাই। আসলে তারা মুখ দিয়ে একথা বললেও তাদের অন্তরে ছিল কুচিন্তা। সেই চিন্তা থেকেই দলীয় পরিবহন নেতাদের দিয়ে সারাদেশে টানা দিন নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। পরিবহন মালিকদের কথিত চাপে বাড়িয়েছে বাস ভাড়া।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতারা যদিও শেখ হাসিনাকে বলেন বিশ্ব নেতা। কিন্তু শেখ হাসিনা আসলে একজন বিশ্ব প্রতারক। নিজ দেশের জনগণের সাথে যে প্রতারণা করতে পারে সে বিশ্ব নেতাতো দূরের কথা দেশের মানুষের নেতা হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না। দেশে ১৮ কোটি মানুষের ১৮ কোটি মুখ আছে। কিন্তু মুখগুলো তালাবদ্ধ করে সে বিশ্ব নেতা বলে দাবি করেন। কারো কথা বলার কোনো সুযোগ নাই। এদেশের মানুষের চোখ দিয়ে দেখা ছাড়া এখন আর কিছু করার ক্ষমতা নাই। পুরো দেশটাই এখন একটা কবরস্থান। কারণ, কবরের মৃত আর বাংলাদেশের জীবত মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।
Discussion about this post