‘‘আপনি একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমাদের এই মিথ্যা বলা শিখালেন কেন? বাংলার ১৬ কোটি মানুষ জানে যে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে৷ শুধু তাই নয় ইট, বালিভর্তি ট্রাক দিয়েও আটকে রাখা হয়েছে তার বের হওয়ার পথ৷ আপনারা ভেবেছেন বাঙালি বোকা?”
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ কি না, এই নিয়ে বিতর্কে বিভিন্ন মতামতের মধ্যে একজন ফেসবুক পাঠকের মত এটি৷
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে কেউ অবরুদ্ধ করে রাখেনি বলে সোমবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ ঢাকায় এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘অবরুদ্ধ করে রাখা হবে কেন? উনি বাড়িতে চলে যাক, কেউ উনাকে বাধা দেবে না।’’
ফেসবুকে পাঠকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো,আপনারও কি মনে হয় খালেদা অবরুদ্ধ নন? এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওপরের প্রশ্নটি করেছেন ফেসবুক পাঠক এসকে শহিদ৷ অনেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন৷
ফেসবুকে এই রিপোর্টটি দেখেছেন ১২,৬৮৮জন আর লাইক করেছেন ২৫৫জন পাঠক এবং কমেন্ট করেছেন শতাধিক বন্ধু৷ নিয়াজ হাবিব লিখেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বাঙালি জাতিকে শিখাচ্ছে কী ভাবে নির্লজ্জের মত মিথ্যা কথা বলতে হয়৷ উনি কি মনে করেন বাংলাদেশের সব মানুষ প্রতিবন্ধী?? তাদের চোখ-কান নাই??? শেইম অন উ প্রাইম মিনিস্টার….৷” তবে বেশির ভাগ পাঠকেরই মত প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্য নয়৷
মো.জামাল বলছেন,‘ হাছিনা মিছা কথা কয়ছে’
আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘‘হাসিনা এক হাজার বার মিথ্যা বলেছে, সীমাহীন মিথ্যে কথা বলতে বলতে মিথ্যে তার রক্তে মিশে গেছে৷”
বাবলুর নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘‘ লজ্জা করছে….. মিথ্যারওতো একটা স্ট্যাটাস আছে!!!! এটা স্ট্যাটাস হীন মিথ্যা….. এটাকে মিথ্যা বললে, মিথ্যারা লজ্জা পাবে!!!!!
পাঠক মঞ্জু তাঁর রাগ প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘‘ মানুষকে কি আওয়ামী লীগ বোকা মনে করে যে, মানুষ কিছু বোঝেনা৷” এই একই কথা মোহাম্মদ কামাল সরকারেরও৷
‘‘খান রাহাত রহমানের ভিন্ন মত : ‘‘ বাংলাদেশের একজন নেত্রীর সাথে তার দলের সব নেতা-নেত্রী দেখা করছেন, হরেক-রকমের খাবার আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে, গেটের তালা খুলে দিলেও বের হচ্ছেন না এসব কিছু দেখে কী মনেহয়? উনি অবরুদ্ধ? আন সাং সুচি যখন গৃহবন্দি ছিলেন তখন কি তিনি এইসব করতে পারতেন? এই ধরনের নাটক করে তিনি আসলে কি প্রমাণ করতে চান আমরা জানি না কিন্তু সমগ্র দেশের বেশির ভাগ মানুষ তার এই ঘরে বসে থেকে সাংবাদিকদের দাবিতে দেয়া অবরোধ কর্মসূচীতে যে দারুণ বিরক্ত এবং ক্ষিপ্ত তা নির্দ্বিধায় বলা যায়………………৷”
ডাক্তার রাহিদ বারি দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে খুবই হতাশ৷ রাজনীতিকদের প্রতি তাঁর আর কোনো বিশ্বাস নেই বলেই মনে হচ্ছে৷ তিনি জানিয়েছেন তাঁর মতামত এভাবে, ‘‘৩ টাকার বিদ্যুত ১০ টাকা হয়েছে, কিছু বলিনি৷ ১৬ টাকার কেরোসিন ৮৪ টাকা হয়েছে, কিছু বলিনি, ১২ টাকার চাল কেন ৫২টাকা হয়েছে, কখনো জানতে চাইনি৷ ঘরে ঘরে চাকুরি দেওয়ার কথা ছিল ইন্টারভিউ দিতে দিতে জুতোর তলা আর রাস্তা দুটোই ক্ষয়ে গেছে তবুও চাকুরি পাইনি৷ ১৫০ টাকার গ্যাস ১০০০ হয়েছে কিছুই বলিনি৷ কিন্তু আজ দেখি পুরো দেশই হুমকির মুখে …. আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কতো খেলবে? ভোট নেয়ার জন্য এবং স্বার্থের জন্য আর কতটা মিথ্যা সান্ত্বনা দেবে? আর কতো জীবন দিতে হবে সাধারণ মানুষকে? নাকি বাংলার মানুষ এখনো পরাধীন? তাহলে কি মুক্তি যুদ্ধ করেও মেলেনি৷ মুক্তি? আসুন সবাই একতাবদ্ধ হই … আর একবার দেশের মানুষকে মুক্ত করি …. আর কিছু দালাল হত্যা করলেই কলঙ্কের হাত থেকে মুক্তি পাবে বাংলার মানুষ৷”
ফয়েজ আহমেদ বেশ মজা করে লিখেছেন, আর পুলিশ বাবাজীরা কি ওখানে পিকনিক করতে গেছে বলে মনে হয় ? আর তুহিন লিখেছেন, ভাই, শেখ হাসিনা কি ওখানে দালান বানানোর জন্য ইট বালি ট্রাক ভর্তি করে রেখেছেন?
মো.আনিসুর লিখেছেন, ‘মিথ্যাবাদী হাসিনা’ আর জাহাঙ্গীর আলমের ভাষায়, ‘‘হাসিনা তো ডাহা মিথ্যুক, তাঁর মতো মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে নেই৷” নূর আজিমের মন্তব্য ‘‘হাসিনা মিথ্যার জনক৷” আফরোজ হাসনাতের মন্তব্য ‘‘চরম মিথ্যাবাদী হাসিনা৷” হৃদয় হোসেন, আজাব দোনিয়াও প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলেই মন্তব্য করেছেন৷ মহসিন মোল্লার কথা, মিথ্যা বলছেন হাসিনা৷ মামুন খান, ‘‘মিথ্যা কথা বলাই হচ্ছে এই নেত্রীর কাজ৷”
আঞ্চলিক ভাষায় মো.রাসেল খান তাঁর মত তুলে ধরেছেন, , ‘‘এতো মিথ্যা কথা কও কেরে! আর কিছু না পারলেও হেতাই মিথ্যা কথাই নোবেল পাবেন!
বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে সবুজ তালুকদারের মত, ‘‘রাজনীতি নিশ্চয়ই নোংরা, আগামীতে ভালোরা রাজনীতি করবেনা মনে হয়৷”
মাহী তুহিন জানিয়েছেন ঠিক এভাবে, ‘‘আমি আপনার কথায় একমত, ঘরে বসে জমির ধান গোলায় তোলা যায় না, তার জন্য মাঠে নামতে হয়, এখন তো এমন অবস্থা হইছে যে সাধারণ মানুষ ও রাস্তায় নামতে ভয় পায়, আমার মনে হয় এই রাজনীতির যাতা কলে এখন সাধারণ জনগণ পিষ্ট হচ্ছে কেউ ঘরে বসে কেউ পুলিশ দিয়ে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখছেন৷”
ফারুক হোসেন জ্ঞানের কথাই বলেছেন, ‘‘ক্ষমতা পিপাসু মানুষের ক্ষমতার অপব্যবহার আর কী ?
মো.সেলিম তাঁর উত্তরে লিখেছেন, হ্যাঁ , খালেদা জিয়া বাসায় গেলেই তো যেতে পারেন৷”
জেসমিন আরার মন্তব্য ‘‘বেগম জিয়া স্বাধীনভাবে তার বাসায় যেতে পারবেন অন্য কোথাও নয়৷”
রাজিবুল ইসলাম রাজুর মন্তব্য, ‘‘মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত যার সব ক্ষমতা তার কাছ থেকে এমন মিথ্যা কথা বলাই স্বাভাবিক৷ এতে করে তিনি প্রমাণ করতে চান দেশের মানুষ পাগল আর তিনিই একমাত্র বুদ্ধিজীবী৷”
এবার আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়, তিনি আক্রমণ করেছেন বিরোধীদলের নেতা খালেদা জিয়াকে৷ মো.মোমিন আলী লিখেছেন, ‘‘খালেদা চোরের মা তাই মিথ্যা কথা বলে৷”
নিরোর মন্তব্য,‘‘ প্রধানমন্ত্রী আর তাঁর মন্ত্রীরা কথায় কথায় বেগম খালেদা জিয়াকে অফিস থেকে শুধু বাসায় যাবার কথা কেন বলেন? কেন বলেন না যে, তিনি যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে পারবেন৷ আসলে সরকারের ইচ্ছেটা কী সেটা কিন্তু আমরা বুঝি৷ জনগণ এত বেয়াক্কল নয়!”
জাহেদ আহমেদ বলছেন, তাহলে পুলিশ কার হুকুমে তালা দিয়েছে??? মিথ্যা বলার একটা সীমা থাকা উচিত৷ এতো বড় নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীতে আর একটি আছে বলে আমার মনে হয় না৷”
ইয়াসির মোহাম্মদ জানিয়েছেন বিএনপির সমর্থকদের নাকি মিছিল করার জন্য টাকা দেওয়া হয়৷ তার মতে খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নন৷”
কামাল খান বিজ্ঞের মতো লিখেছেন, ‘‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিওনা৷” চয়ন মালির মন্তব্য, ‘‘মিথ্যার ও বিচার হবে একদিন৷” ধর্মপ্রাণ জাবেদ হোসেনের মন্তব্য ‘‘মিথ্যাবাধীকে আল্লাহ পছন্দ করে না৷”
বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে সন্দিহান মামুন মিয়াজি৷ তাঁর ভাষায় একেই কি গণতন্ত্র বলে ?
রাজিবুল ইসলাম রাজুর মন্তব্য, ‘‘মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত যার সব ক্ষমতা তার কাছ থেকে এমন মিথ্যা কথা বলাই স্বাভাবিক৷ এতে করে তিনি প্রমাণ করতে চান দেশের মানুষ পাগল আর তিনিই একমাত্র বুদ্ধিজীবী৷”
দেশকে রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে রক্ষা করতে মো.সুমন জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ‘‘সাধারণ জনগণকে একজোট হতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে সাধারণ জনগণকেই, কারণ আমরা যাদেরকে আমাদের জান মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছি তারাই আজ আমাদের জীবনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই যা করার সাধারণ জনগণকেই করতে হবে, জনগণের ঊর্ধ্বে কেউ নয়৷”
মো.লোকমান, ‘‘মিথ্যা কথা বলার জন্য নোবেল পুরস্কার দিলে হাসিনা প্রথম অধিকারী হতেন৷”
পাঠক শেখ আবদুল হান্নান খুবই হতাশ, তিনি ভাবতেই পারেন না যে এত বড় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা কীভাবে ডাহা মিথ্যা কথা বলতে পারেন৷
সৈয়দ সানোয়ার হোসেন বুঝতে পারছেন না অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলছেন কেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘অনেক কথা বলছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাটা কী বললেন বুঝলাম না৷ শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ নয়, উনি চাইলে যে কোন সময় ওনার বাসায় যেতে পারেন৷ শেখ হাসিনা তো আর বলেন নাই যে উনি সমাবেশে যাইতে পারবেন৷ তাহলে মিথ্যাটা কী বলল প্রধানমন্ত্রী বুঝলাম না?”
বিদ্র: প্রতিবেদনটি ডয়েসভেলে বাংলা বিভাগের পাঠকের মন্তব্য থেকে সংকলন করা হয়েছে
Discussion about this post