অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
সম্প্রতি চীনের টিকার দাম না প্রকাশ করার শর্ত থাকলেও ইচ্ছে করেই দাম প্রকাশ করেছেন অতিরিক্ত সচিব সাহিদা আক্তার। তিনি বলেন, সিনোফার্মের টিকা প্রতি ডোজ ১০ ডলার দামে কেনার চুক্তি হয়েছে৷ বাংলাদেশ চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনবে৷ মোট দাম পড়বে ১৫ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মূদ্রায় এক হাজার ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা৷
কিন্তু চীনের সাথে ভ্যাকসিন চুক্তির শর্ত ছিল দাম প্রকাশ করা যাবে না৷ তাই অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার দাম প্রকাশ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে চীন৷ বাংলাদেশের জন্য ধার্য করা দাম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা৷ কারণ, তারা চীনের কাছ থেকে টিকা পাচ্ছে ১৫ ডলারে৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চীন এরই মধ্যে তাদের অস্বস্তির কথা জানিয়েছে৷
এই ঘটনায় এরই মধ্যে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তারকে ওএসডি করা হয়েছে৷ চুক্তির সাথে জড়িত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এমনকি মন্ত্রীকেও চুক্তির শর্ত মেনে দাম জানাইনি৷
এখন প্রশ্ন হল-রাষ্ট্রের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটা গোপন বিষয় অতিরিক্ত সচিব সাহিদা আক্তার প্রকাশ করলেন কেন? তিনি জানতেন এটা প্রকাশ করলে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হবে। তারপরও কেন এটা করলেন?
দেখা গেছে, বিগত ১২ বছর ধরেই শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে মূলত পেছন থেকে ভারত বাংলাদেশকে শাসন করছে। ভারত যখন যা বলছে শেখ হাসিনা তাই করছে। তাকে চালাচ্ছে মূলত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র। বলা যায়-শেখ হাসিনা বর্তমানে স্বাধীনভাবে কিছুই করতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত সচিব সাহিদা আক্তার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। কিছু দিন চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কটা ভারত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই এই সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরানোর জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছিল। অতিরিক্ত সচিব সাহিদা আক্তারকে দিয়ে টিকার দাম প্রকাশ করানোও ছিল র এর সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
দেখা গেছে, শেখ হাসিনা যখনই কোনো বিষয়ে ভারতের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেছে ও তাদের কথা মতো কাজ করেনি তখনই ‘র’ তাকে হত্যারচেষ্টা করেছে। এসব ঘটনার পর থেকে শেখ হাসিনা এখন যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থের বিষয়টিকে আগে প্রাধান্য দেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন-ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এখন বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছে। রাষ্ট্রের সব সেক্টরেই র তার এজেন্ট বসিয়েছে। এমনকি প্রশাসনের সকল সেক্টরে এখন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এর এজেন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এসব ভারতীয় এজেন্টরা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র র এর হাতে তুলে দিচ্ছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে দিচ্ছে। যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হল গোপনীয়তা ভঙ্গ করে টিকার দাম প্রকাশ করে দেয়া।
Discussion about this post