অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
আলোচিত তিস্তা চুক্তি নিয়ে এবার ভুল তথ্য দিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে পাগলা মোমেন খ্যাত সরকারের পররাষ্ট্র বিষায়ক মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিস্তা নিয়ে একেক সময় দেয়া একেক তথ্যে মানুষের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ ২০২১ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি সই হয়ে গেছে ১০ বছর আগেই। তবে বাস্তবায়ন হয়নি। এ ঘটনার ১০ দিনের মাথায় মন্ত্রীর গলায় ভিন্ন সুর। আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা চুক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেছেন, ইনশাআল্লাহ, কোনো একসময় তিস্তা চুক্তি হবে। তিস্তা নিয়ে আমরা সব সময় আশায় বুক বেঁধে আছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন দিমুখিতা জনমনে হাস্যরস তৈরী করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ১০ বছর আগে যদি তিস্তা চুক্তি সই হয়ে থাকে-তাহলে আবার তিস্তা চুক্তি সই হবে কেন? আগের চুক্তি কি বাতিল হয়ে গেছে?
দেখো গেছে, আলোচিত তিস্তা চুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। তিস্তা চুক্তির আশ্বাস দিয়ে স্বার্থবাদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যত সুবিধা নেয়ার সবই নিচ্ছে। এর আগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও একই কাম করেছে।
তিস্তার কারণে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল শুকনা মৌসুমে মরুভূমিতে পরিণত হয়। ভারত তিস্তার পানি আটকে রাখার কারণে উত্তরাঞ্চের মানুষ ঠিকমতো চাষাবাদ করতে পারে না। আবার বর্ষাকালে যখন পানির প্রয়োজন হয় না তখন ভারত তিস্তার সবগুলো গেট খুলে দেয়। তখন বাংলাদেশের উত্তারাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। কিন্তু যখন পানির দরকার হয় তখন তারা পানি ছাড়ে না।
শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, সারাদেশের মানুষের দাবি হল এই তিস্তা চুক্তি। শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় দেশবাসীর দাবি ছিল তিস্তা চুক্তি। কিন্তু শেখ হাসিনা ভারত গিয়ে জোরালোভাবে তিস্তার কথা তুলতে পারেনি। অথচ ওই সময় ভারতের যা দরকার ছিল সবই চুক্তি হয়েছে। এরপর নরেন্দ্র মোদির সাথে শেখ হাসিনার একাধিক বৈঠক হয়েছে, কিন্তু একটি বৈঠকেও তিস্তা নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও দেশের স্বার্থে কথা বলছেন না।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদির এই সফরকে কেন্দ্র করে আবার আলোচনায় এসেছে তিস্তা চুক্তি। আব্দুল মোমেন প্রথমে বলেছেন, তাদের বাবার জন্মদিনে মোদি আসতেছে এতেই তারা খুশি। অন্য কোনো ইস্যু নিয়ে এখন আলোচনা হবে না। এই সফর হবে শুধু আনন্দ আর উৎসবের।
এরপর গত ১৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে এই মোমেন হঠাৎ করে বললেন-তিস্তা চুক্তিতো ১০ বছর আগেই হয়ে গেছে। এখন শুধু বাস্তবায়নের বাকি। তার এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর মানুষ খুব বেশি ক্ষুব্ধ না হলেও রসিকতার জন্ম দিয়েছে। মোমেনের পাগলা মোমেন খেতাবটা ওনেকেই এবার জোর দিয়েছেন। আবার অনেকেই মোমেনকে একটা আবাল ও পাগল বলেছেন।
Discussion about this post