আরফান মুজাহিদ
মিথ্যা তথ্য দিয়ে দেশবাসীকে বিনোদিত করতে দেশে এসেছেন বিখ্যাত তথ্যবাবা হিসেবে খ্যাত শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়। তিনি সব সময়ই মানুষকে বিনোদন দিতে খুব ভালবাসেন। এবারও সেটার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। এবার হেফাজতকে নতুন রাজাকার উপাধি দিয়ে মানুষের মনে হাস্যরস তৈরী করেছেন। শুধু তাই নয় জয়ের মুখে এমন গায়েবি তথ্য শুনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও অবাক বনে গিয়েছেন।
শনিবার রাতে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জয় জানালেন, জামায়াত ছিল একাত্তরে রাজাকার। আর দেশে নতুন রাজাকার হলো হেফাজত।
তথ্য বাবার এই বয়ান খুব ফলাও করে প্রচার করেছে মিডিয়াগুলো। তবে, তথ্য বাবার এই বয়ানের প্রতিক্রিয়া খুব ভাল আসেনি। তার এই অদ্ভুত বক্তব্যে মানুষ শুধু ক্ষুব্দ হয়নি, অশালীন ভাষায় তাকে গালাগালিও করছে।
তথ্য বাবা যেহেতু নতুন রাজাকার আবিষ্কার করিলেন। তাই দেখে নেয়া যেতে পারে আসলে রাজাকার ও রাজাকারের বংশধর কারা। আর এটা জানার জন্য খুব বেশি ইতিহাসও পড়ার দরকার নাই। তথ্য বাবার পরিবারের দিকে তাকালেই চোখের সামনে তথ্যগুলো চলে আসবে।
ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য,ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেশের বহুল পরিচিত একজন নেতা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার কি ছিল সেটা সবার জানা। তিনি শান্তি বাহিনী গঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হানাদার বাহিনীকে প্ররোচিত করতেন। “দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাঁদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন।
এই রাজাকার খন্দকার মোশাররফের আরেকটি পরিচয় সবার জানা। তিনি শেখ হাসিনার একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শ্বশুর। মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই।এই হিসেবে তথ্য বাবা জয় হন-রাজাকার মোশাররফের ছেলে মাশরুর হোসেন মিতুর শালা।
তাহলে ইতিহাসের নসব নামা বলছে, জয় হলেন-কুখ্যাত রাজাকারের ছেলের শালা। এমন একজন কুখ্যাত রাজাকারের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও তথ্য বাবা জয় বেহায়া-বেশরম ও নির্লজ্জের মতো দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে রাজাকার বলে গালি দিচ্ছে।
আসলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পরিবারের চরিত্রই হলো-যারা আওয়ামী লীগ করবে সবাই মুক্তিযোদ্ধা। যারা অন্য দল করবে-তারা মুক্তিযোদ্ধা হলেও রাজাকার।