অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ইস্যুতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তবে, এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যে ব্যক্তিটি এতদিন নিরব ছিলেন, তার দলের লোকদের দিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে ভাস্কর্যের পক্ষে অবস্থান করছিলেন, সরকারের দালাল হিসেবে পরিচিতি চরমোনাইর সেই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম এবার ধরা খাইলেন। দালালি করেও বাচতে পারলেন না।
গত মাসের প্রথম দিকে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের ভাস্কর্য বিরোধী জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম। ভাস্কর্য নির্মাণের বিরুদ্ধে সেদিন যথেষ্ট হুংকার দিয়েছিলেন। তার দলের মুফতি নুর হুসাইন নুরানী নামে এক মাওলানা বলেছিলেন-ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে।
এরপর, শিক্ষাউপমন্ত্রী ব্যারিস্টার নওফেল বললেন-ঘাড় মটকে দেয়ার কথা। আলেমদেরকে বললেন-ভাড়াটে মৌলবাদী।
নওফের বক্তব্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠে দেশের সর্বস্তরের আলেম সমাজ। প্রতিবাদে মাঠে নামে। অপরদিকে, আলেম ওলামাকে ঠেকাতে ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। সারাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয় ওয়াজ মাহফিল। পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে সংঘাতময়।
কিন্তু, লক্ষণীয় বিষয় হলো-দেশের সকল ওলামায়ে কেরামকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে ঘরে ঢুকে গেলেন চরমোনাইর দলের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম। ওলামায়ে কেরাম বাধার শিকার হচ্ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, আঘাতের শিকার হচ্ছে, অথচ মুফতি ফয়জুল করিমরা একটা টু শব্দও করছেন না।
বরং তার দলের বক্তা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী আকারে ইঙ্গিতে ভাস্কর্যের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনি সরকারের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
দেখা গেছে, এদেশে দীর্ঘদিন ধরেই মুফতি ফয়জুল করিমরা তাগুতি শক্তি আওয়ামী লীগের দালালি করে আসছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে তারা সব সময়ই সরকারকে উস্কে দেয়। তারা মুখে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বললেও আসলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বি-টিম হিসেবে কাজ করছে।
মজার বিষয় হলো-এতসব দালালি করেও রক্ষা পেলেন না মুফতি ফয়জুল। ভাস্কর্য ইস্যুতে তাদের মনিব সরকার তাকে ফাঁসিয়েই দিচ্ছে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন-সৈয়দ মুফতি ফয়জুল করিমের বয়ান শুনেও দুই মাদ্রাসা ছাত্র ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে। অপরদিকে, মামুনুল হকের সাথে তার বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার আবেদন করা হয়েছে।