লেনিন শুভ্র
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চাঁপাবাজ ওবায়দুল কাদের গতকালও বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনো অবনতি ঘটেনি। বর্তমান ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক অতীতের সকল উঞ্চতা ছাড়িয়ে গেছে।
আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ারে বসা আব্দুল মোমেনের ভাষ্য তো হলো-ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো। সম্প্রতি আবার বলেছেন-ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নাকি রক্তের সম্পর্ক। কে কার রক্ত থেকে জন্ম নিয়েছে সেটা অবশ্যই তিনি বলেননি। তবে, এর আগে যেহেতু স্বামী-স্ত্রী বলেছেন, সেহেতু বিষয়টা পাবলিক বুঝতে আর ভুল করেনি।
আর ভারতীয় স্বামীর সঙ্গে মন মালিন্যের মূল কারণ হলো চীনের সঙ্গে পরকিয়া। এই পরকিয়া স্বামী বেচারা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। আর পরকিয়াও করেছে স্বামীর চির শত্রুর সাথে। যেটাকে বলা হয়-কাটা গায়ে লবণের ছিটা।
কিন্তু স্ত্রীরও পরকিয়া করা ছাড়া সামনে কোনো উপায় নেই। ভারতের হাড়কিপটা স্বামী শুধু কবুল পড়িয়ে রেখেছেন। স্ত্রীর যে ভাত-কাপড় লাগে সেটার ব্যবস্থা তিনি করছেন না। স্বামী কিছু দিন পর পর চাপ দিয়ে শুধু যৌতুক নিচ্ছেন। বদলে স্ত্রীকে দিচ্ছেন না কিছুই। ভাত-কাপড় তো দূরের কথা, শত দেন দরবারের পর পানি চুক্তিটাও করছে না।
স্ত্রী এখন ভাত-কাপড়ের জন্য চুকিয়ে প্রেম করছে চীনের সঙ্গে। চীনও ঢেলে দিচ্ছে। কিন্তু সেটাও সহ্য করতে পারছে না ভারতীয় স্বামী। তাই সেদিন স্ত্রীর কাছে জরুরি বার্তা দিয়ে ঘটক শ্রীংলাকে পাঠালো বাংলাদেশে। শ্রীংলা এসে জানিয়ে গেল-সংসার আপনাকে করতেই হবে। ভাঙার কোনো সুযোগ নেই।
এবার ক্ষুব্ধ স্বামীকে খুশি করতে পাঠালো ইলিশের চালান। স্বামীর দেশের জন্য দেড় হাজার টন ইলিশ বরাদ্দ করেছে স্ত্রী। প্রথম চালানে গতকাল ১২ টন ইলিশ স্বামীর দেশে গেছে।
জানা গেছে, ইলিশেও খুশি হচ্ছে না স্বামী। যার কারণে, পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। স্ত্রীকে শিক্ষা দিতে এবার শ্বশুর বাড়ির লোকদেরকে পেয়াজ না খাইয়ে রাখবে বেচারা স্বামী নরেন্দ্র মোদি। সমালোচকরা বলছেন-স্বামী-স্ত্রীর সংসারে আবার টানাপোড়ন শুরু হয়েছে। যেকোনো সময় ভেঙ্গেও যেতে পারে।