কেরালা, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও পাস হয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব।
সোমবার রাজ্যটির বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধীতা করে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সোমবার দুপুরের পর রাজ্য বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে বাম ও কংগ্রেস ভোটাভুটিতে না গেলেও বিরোধিতা করেছে বিজেপি।
গতকালই সব রাজনৈতিক দলকে এ প্রস্তাব সমর্থনের অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সিএএ বাতিলের প্রস্তাবে সংশোধনীর দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ‘পাকিস্তানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্যে সিএএ, এনআরসি আর এনপিআর করার অনুমতি দেব না। মানুষ আতঙ্কে আছেন। সব ধরনের নথির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রানি হচ্ছেন।
শুধু সংখ্যালঘুদের জন্য এ লড়াই নয় জানিয়ে মমতা আরও বলেন, ‘এই লড়াই শুধু সংখ্যালঘুদের না। আমার হিন্দু ভাই-বোনেদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা সামনে থেকে এই লড়াইটা লড়ছেন।’
পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তিনি।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপির প্রণীত আইনটিকে বৈষম্যমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই ভারতজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। কংগ্রেসসহ বেশিরভাগ বিরোধীদলই আইনটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
শুরু থেকেই সিএএ বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে আসছেন মমতা। সিএএ নিয়ে আপত্তির কথা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে শনিবার কেরালা, পাঞ্জাবের পর তৃতীয় রাজ্য হিসেবে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছে রাজস্থান। সোমবার ভারতের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে আইনটির বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করল পশ্চিমবঙ্গ।
পরপর চারটি রাজ্যে এভাবে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হওয়ায় আইনটি বাস্তবায়নে চাপের মুখে পড়ল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
সূত্র: যুগান্তর