অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
নির্বাচনী আচরনবিধি লংঙ্ঘন করে ঢাকা-১৫ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার দেয়া আপত্তিকর বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর মামলার জালে আটকা পড়তে যাচ্ছেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বৈধ ঘোষিত প্রার্থীদের গত ৯ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ১০ ডিসেম্বর ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে জড়িয়ে আচরণ বিধি লংঙ্ঘন করে কামাল আহমেদ মজুমদার আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি ডা.শফিকুর রহমানকে মিরপুর এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না। তাকে কুখ্যাত রাজাকার উল্লেখ করে ব্যক্তিগতভাবে মানহানি করার চেষ্ঠা করেন। ডা. শফিকুরের নেতা-কর্মীদেকেও রাজাকার বলে একটা একটা করে ধরে আইনের আওতায় আনার ঘোষণাও দেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন ডা. শফিকুর রহমানকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন, কিন্তু, কামাল আহমেদ মজুমদার তাকে কিভাবে নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে না দেয়া ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারে? এমনি প্রেক্ষাপটে ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঙ্ঘন ও মানহানির মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন ।
ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী লস্কর মো. তসলিম জানান, ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ডা. শফিকুর রহমান দু-একদিনের মধ্যে ঢাকা-১৫ আসনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল আহমেদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আচরন বিধি লংঙ্ঘন ও মানহানির মামলা করবেন।
আজ ১২ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় রাজধানীর সেগুন বাগিচার ঢাকা জেলা বিভাগীয় রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে কামাল আহমেদের বক্তব্যের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। লিখিত অভিযোগে ডা. শফিকুর রহমান, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ধারা-১১, উপধারা(ক) এর উল্লেখ করে কামাল আহমেদ মজুমদারের বক্তব্যকে আচরনবিধি লংঙ্ঘন বলে দাবি করে নির্বাচনী এলাকার আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। এসময় সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত কামাল আহমেদের বক্তব্যের ভিডিও’র লিংকও সংযুক্ত করে দেয়া হয়।