রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী বাজারে মানুষের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে জনতা হামলা চালায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ।
বুধবার বেলা ১২ টার দিকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ইছাখালী বাজারে মির্জা ফখরুলের গাড়ি বহরের ধাক্কায় দুই ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় উপস্থিত জনতার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তখন সাধারণ জনতার ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে মির্জা ফখরুলের গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
অথচ ‘দায়ী যুবলীগ ছাত্রলীগ, হামলা পরিকল্পিত’ শিরোনামের যুগান্তরের একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ইন্ধনে পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরাই মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরের উপর হামলা চালিয়েছিলো। কোন কোন নেতা এই হামলার পেছনে ইন্ধন যোগিয়েছে এবং কারা কারা হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের নামও প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে। স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমেও এই হামলার সুস্পষ্ট প্রমান পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, পাহাড় ধসে রাঙামাটির বিধ্বস্ত জনপদ ও মাটিচাপায় হতাহতদের দেখতে রবিবার (১৮ জুন) সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় টিম রাঙামাটি যাওয়ার পথে রাঙ্গুনিয়ায় ইসাখালী এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সসস্ত্র হামলার শিকার হন। গাড়িবহরের পথ আটকে রড ও পাথর দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবের রহমান শামীম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মীর ফাওয়াজ হোসেন শুভ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বকরসহ ১৫ জন আহত হন।
এদিকে এই হামলার জন্য আজ ২৬ জন ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীর না উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করা হয়েছে।
Discussion about this post