ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নেতা খালেদ মিশাল ঘোষণা করেছেন, তার সংগঠন ১৯৬৭ সালের সীমান্ত নিয়ে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মেনে নিলেও কখনোই ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না।
সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে হামাসের নয়া নীতি ঘোষণা করেন তিনি। মিশাল বলেন, “হামাস সমস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড মুক্ত করার নীতিতে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলকে স্বীকৃতি না দিয়ে কিংবা কোনো অধিকার ত্যাগ না করেই ১৯৬৭ সালের সীমান্ত মেনে নিতে রাজি আছে।”
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নতুন নীতিতে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। মিশাল বলেন, “আমরা আমাদের নীতিকে হালকা করতে চাই না, তবে আমরা উদার হতে চাই। আমরা আশা করছি নতুন নীতি ঘোষিত হওয়ার পর ইউরোপীয় দেশগুলো আমাদের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে।”
হামাস নেতা ইসরাইলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের চলমান অনশন ধর্মঘটের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
খালেদ মিশালের পক্ষ থেকে ঘোষিত হামাসের নয়া নীতিতে সকল ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনার আহ্বানে অটল থাকার পাশাপাশি ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মসজিদুল আকসা মুসলমানদের সম্পদ এবং এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না।
হামাস হচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের অন্যতম প্রধান প্রতিরোধ আন্দোলন। ইহুদিবাদী ইসরাইল ২০০৭ সাল থেকে হামাসের নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার ওপর তিন দফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে গাজায় ইসরাইলের সর্বশেষ আগ্রাসন শুরু হয়। প্রায় ৫০ দিনের ওই যুদ্ধে ২,২০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হন।
সূত্র: পার্স টুডে
Discussion about this post