জুনায়েদ আব্বাসী
আপনি কি খুনি-সন্ত্রাসী? কয়টা খুন করেছেন? ১০-১৫টা। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় আপনার নাম এসে গেছে। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের মধ্যে আপনিও একজন। ইতিমধ্যে আপনার নামে কয়েকটি হত্যা মামলাও দায়ের করা হয়েছে। সংবাদপত্রগুলোর শিরোনাম হয়ে গেলেন আপনি।
আপনাকে নিয়ে সারাদেশে হইচই পড়ে গেছে। ধরার জন্য র্যাব-পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে আপনাকে। সংবাদপত্রে প্রথম পাতায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় আপনার ছবি ও নাম দেখে নিশ্চয় খাওয়া-ঘুম হারাম হয়ে গেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে আপনার পরিবারের সদস্যদেরও। ১০ খুনের শাস্তি নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড।
চিন্তার কোনো কারণ নেই। চোখ বন্ধ করে একটু ভাবুন। র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, মন্ত্রী-এমপি বা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যে কোনো আত্মীয় আছে কি না। নিশ্চয় কেউ না কেউ আছে। ব্যাস, আপনি নিশ্চিত থাকুন গ্রেফতার হলেও আপনার কোনো সমস্যা নেই।
নিম্ন আদালত আপনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। এটা নিয়ে টেনশনের কিছু নেই। আপনার সব পাপ মোচনের জন্য বঙ্গভবনেতো একজন বসা আছেন। তিনি হলেন জাতির মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। তিনি সকল আইন-কানুনের উর্ধ্বে। তার ওপর ভরসা রাখুন। তিনি সকল খুনিদের জন্য দয়ার সাগর। তিনি আপনাকে শুধু ক্ষমা করেই দিবেন না, ওই যে আপনাদের গডফাদার তোফায়েল আহমেদ যোসেফ। তার মতো বিদেশে চলে যাওয়ারও সুযোগ করে দেবেন।
এই সুসংবাদটি পাওয়ার পর নিশ্চয় আপনার টেনশন কমেছে। ঘুম-ঠিকমতো শুরু করেছেন। আপনাকে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিল সেটাও আর নেই। এবার আপনি নিশ্চিত মনে মানুষ খুন করে যান। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ যতদিন বেঁচে আছেন, আপনিও ততদিন বেঁচে থাকবেন।