অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শাসনামলে বিএনপি-জামায়াতের কয়েক হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আমান আযমী, মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতা অলিউল্লাহ ও আল মোকাদ্দেসসহ আরও অনেকের সন্ধান এখনও পাচ্ছেনা তাদের পরিবার।
এসব নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করলেও শেখ হাসিনার সরকার এসবে কোনো পাত্তাই দিচ্ছেনা। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও উল্টো বলছেন যে, এসব গুম-খুন আগেও ছিল। তার সরকারের আমলে কোনো গুম-খুনের ঘটনা ঘটেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীএবং র্যাব-পুলিশও বলছে যে দেশে গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যা বলতে কোনো শব্দ নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব অস্বীকার করলেও এবার তার মুখোশ উম্মোচন করে দিয়েছেন তারই বিশেষ দূত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দেশে কে কখন গুম-খুন হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে গুম ও খুন হবে তা কেউ না জানলেও একমাত্র প্রধানমন্ত্রী জানেন বলে দাবি করেছেন এরশাদ।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদীঘিতে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। দেশে কখন কে খুন হবে, দেশে কখন কে গুম হচ্ছে আর খুন হচ্ছে আল্লাহ ছাড়া তা কেউ জানেনা। তবে, একজন জানেন। শুধু প্রধানমন্ত্রী।
এ বক্তব্য দেয়ার কারণে ভবিষ্যতে এর পরিণাম কী হয় তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এরশাদ। এরশাদ বলেন, আল্লাহ জানেন কাল আবার জেলে যাই কিনা। কী হয় বলা যাবে না।
এরশাদের এই বক্তব্যই এখন দেশের রাজনীতির প্রধান আলোচনার বিষয়। বলা যায় টপ অব দ্যা কান্ট্রি। আওয়ামীলীগের একান্ত কিছু লোক ছাড়া সবাই এরশাদের এই সাহসী বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে।
রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এরশাদ সঠিক কথাই বলেছেন। বিগত ১০ বছরে যত গুম-খুনের ঘটনা ঘটেছে সবই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই। অন্য কেউ না জানলেও শেখ হাসিনা সবই জানেন। এরশাদের বক্তব্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিগত ১০ বছর ধরে যে মুখোশ পরে আছেন তা উম্মোচন হয়ে গেল। শেখ হাসিনার মুখোশ খুলে দিয়েছেন এরশাদ।