অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
রাজশাহী থেকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১০ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাদের নগরীর হেতেমখান এলাকা থেকে আটক করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। গণমাধ্যমকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনা-এসি আল আমিন।
আটক অন্য নেতারা হলেন- রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, রাজশাহী জেলার আমির অধ্যাপক আবদুল খালেক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমির মাওলানা আবু জার গিফারী। বাকি ছয় নেতার নাম জানা যায়নি।
জানা গেছে, সোমবার সকালে তারা নগরীর হেতেমখান এলাকায় নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে মিটিং করার জন্য বসেছিলেন। এ সময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানসহ ১০ নেতাকে গ্রেফতার করে। অধ্যাপক মুজিব রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
তবে জামায়াতের একটি সূত্র অ্যানালাইসিস বিডিকে জানায়, অসুস্থ মাকে দেখতে রাজশাহী গিয়েছিলেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। মাকে দেখতে গিয়েই মূলত স্থানীয় দায়িত্বশীলদেরকে নিয়ে সাংগঠনিক ও নির্বাচনকেন্দ্রীক সামগ্রিক অবস্থা জানার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন তিনি।
গত বছরের ৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরদিন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির ও এটিএম মাসুম ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্বে আসেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জামায়াতের উপর দমন নির্যাতনের স্টীমরোলার চালানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত দলটির সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ কেন্দ্রীয় ৫ নেতাকে বিতর্কিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ৮-৯ বছরের সরকারি দমন পীড়নে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে দলটিকে বারবার বিএনপির সঙ্গ ছাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলেও জামায়াত রাজি হয়নি। এজন্য তাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়েছে। এছাড়া জামায়াতকে দমনে প্রতিবেশি দেশের ইন্ধন রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে।