বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২০১৮ হচ্ছে খালেদা জিয়ার বছর, বিএনপির বছর। ২০১৮ সাল হচ্ছে জনগণের বছর, গণতন্ত্রের বছর।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আজ শুক্রবার এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন। ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি। এ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইটা এত সহজ লড়াই নয়। অনেক ত্যাগস্বীকার করতে হয়, সেই ত্যাগ আমরা করেছি। আমাদের এখন জোট বাঁধতে হবে, আমাদের জেগে উঠতে হবে। মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে এবং মানুষকে জাগিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে একমাত্র গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে দুঃখ লাগছে যে আওয়ামী লীগের জন্য এটি একটি সবচেয়ে কলঙ্কিত দিন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ করার অনুমতি পুলিশ দেয়নি। আমরা পার্টি অফিসের সামনে অনুমতি চেয়েছিলাম…অথচ আজকে আমি যখন এই অনুষ্ঠানে আসছিলাম, তখন দেখলাম যে বনানী রোড, গুলশান রোড পুরো ব্লকড। তারা ট্রাক দিয়ে, বাস দিয়ে লোক নিয়ে আসছে—সেটা জায়েজ।’
নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের পতন হবে দাবি করে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে। তারা কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে তাদের নির্বাচন না দিয়ে আজকে পুলিশ, র্যাব, বন্দুক-পিস্তলের সহায়তা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে। নির্বাচন দিলে পরাজয় অবশ্যম্ভাবী হবে, আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘আজকে কোনো জায়গায় গেলে স্বস্তি পাওয়া যাবে? আমাদের মতো রাজনীতিবিদের কথা বাদ। সাধারণ মানুষজনের অবস্থা কেমন?’
দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা হয়েছে, ৭ লাখ ৩৮ জন আসামি হয়েছেন। আমাদের নেতা-কর্মীরা নিহত হয়েছেন। ৭৪৪ জনের মতো গুম হয়েছেন। বিরোধী আইনজীবীদের এমন কেউ নেই যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা নেই।’
আলোচনা সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দীন সরকার, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সূত্র: প্রথম আলো