অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সম্পদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেওয়ায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী এই নোটিশ পাঠিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ডাকযোগে এটি পাঠানো হয়। খবর প্রথম আলো’র।
আজ বুধবার পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫-এর সামনে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দীন খোকন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
গতকাল অ্যানালাইসিস বিডিতে ‘মির্জা ফখরুল কি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবেন?’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পরদিনই আইনি নোটিশ পাঠানোর ঘটনাটি ঘটলো।
খালেদার কথিত সম্পদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একদিন পর গত ৮ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এই বক্তব্য ও খবরকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলেন এবং ক্ষমা না চাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। গতকাল অ্যানালাইসিস বিডিতে একটি সংবাদে মির্জা ফখরুলের সেই ব্ক্তব্যের কথা তুলে ধরে বলা হয়েছিলো, ‘জিয়া পরিবারের কথিত সংবাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী এখনো ক্ষমা চাননি, তাহলে কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আইনী ব্যবস্থা নিবেন?’। অ্যানালাইসিস বিডির এমন সংবাদ পরিবেশনের একদিনের মাথায়ই শেখ হাসিনাকে আইনি নোটিশ পাঠালেন খালেদা জিয়া।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দীন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে খালেদা জিয়ার কোনো শপিং মল বা সম্পদ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য খালেদা জিয়ার জন্য মানহানিকর। তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩০ দিনের মধ্যে এই বক্তব্য প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে নোটিশে বলা হয়েছে।
কম্বোডিয়া সফর সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে ৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের বিষয়ে বলেন, বিদেশে বিভিন্ন দেশে তাদের অবৈধ টাকার বিষয়টি বের হয়ে আসছে। এগুলো তো বাংলাদেশ সরকার করছে না। কাজেই ক্ষমা তাদেরই চাওয়া উচিত। সৌদি আরবে খালেদা জিয়ার অর্থ নিয়ে এ দেশের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কি সৌদি আরবে সেই শপিং মলে বিনা পয়সায় শপিং করার জন্য কার্ড পেয়েছেন। দু-একটি ছাড়া কোনো পত্রিকা-টেলিভিশনে তো রিপোর্ট দেখলাম না। আপনাদের এত দুর্বলতা কিসের জন্য। আমার নাম এলে কী করতেন? সৎসাহস হলো না রিপোর্ট দেওয়ার।’ তিনি বলেন, যারা এত সম্পদের মালিক, তারা জানে মুখ বন্ধ কীভাবে করতে হয়। মুখে ‘রসগোল্লা’ ঢুকিয়েছে। আপনাদের (সাংবাদিকদের) প্রশ্নের উত্তর কেন দেব?
Discussion about this post