অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
১৯৭১ এর শেষের দুই সংখ্যা অর্থাৎ ৭১ কে উল্টো করলে ১৭ হয়। আর বর্তমানে চলছে ২০১৭ সাল। তেমন যুক্তিসংঘত না হলেও এরকম সংখ্যাতত্ত্বের খেলায় তাই এই বছরের বিজয়ের উৎসবটা একটু আলাদা হিসেবেই নিচ্ছেন অনেকে। বর্তমানে একটি অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকায় এবং বিরোধী মতের উপর সরকারের অব্যাহত গুম খুন ও দমন পীড়নের কারণে যদিও দেশের সিংহভাগ মানুষের মনে বিজয়ের আনন্দ বিরাজ করছেনা, তবুও এই দিনে বিজয় লাভের গৌরবকে মনে মনে উপলব্দি করে হলেও অনেকেই এই দিবসকে নানাভাবে পালন করছেন।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিজয় দিবসকে নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পালন করছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির। তাদের একজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের ৬৪ জেলার প্রত্যেকটি জেলায় তাদের শাখা রয়েছে এবং প্রত্যেকটি জেলা আলাদা আলাদাভাবে আজকে বিজয় র্যালী করেছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন মহানগরীতে একাধিক র্যালী হয়েছে। সবমিলিয়ে ৭১’র বিজয় উদযাপন করতে গিয়ে তারা প্রায় ৭১টি স্পটে বিজয় র্যালী করেছে। এমনকি প্রত্যেকটি বিজয় র্যালী অনেক বর্ণাঢ্য ও নেতাকর্মীতে ভরপুর ছিলো বলেও দাবি করেন তিনি।
চট্টগ্রামে সংগঠনটির বিজয় র্যালিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ পেছন থেকে হামলা চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানার লালদীঘি এলাকা থেকে র্যালী নিয়ে আন্দরকিল্লার দিকে যাওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় সংগঠনটির ২৩ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
রাজধানীতে শিবির চারটি বিজয় র্যালী করেছে। উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম নামে ঢাকা মহানগরীতে তাদের চারটি শাখা রয়েছে। এছাড়া গাজীপুর মহানগরী, ঢাকা জেলাতেও তারা বিজয় র্যালী করেছে।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে তাদের দুইটি সংগঠনিক শাখা রয়েছে। দুটিতেই বর্ণাঢ্য র্যালী করেছে শিবির। এছাড়া রাজশাহী মহানগরী, খুলনা মহানগরী, বরিশাল মহানগরী, সিলেট মহানগরী, রংপুর মহানগরী, ময়মনসিংহ মহানগরী এবং দেশের সকল জেলায় বর্ণ্যাঢ্য র্যালী করেছে তারা।
র্যালীগুলোতে শিবিরের নেতাকর্মীদের নানা সাজগোজে আসতে দেখা গেছে। লাল সবুজের টিশার্ট পরে এবং বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা নিয়ে তারা র্যালীগুলোতে অংশগ্রহন করে। এসময় ‘স্বাধীনতা এনেছি স্বাধীনতা রাখবো’ ‘স্বাধীনতার শত্রুরা হুঁশিয়ার সাবধান’ এরকম স্লোগানের পাশাপাশি ক্ষমতার স্বার্থে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে যারা বিলিয়ে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে নেতাদেরকে বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে।
এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দেয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, যুদ্ধাহত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি, দারিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ফ্রি চিকিৎসা, ব্লাড গ্রুপিং, স্বেচ্চায় রক্তদান কর্মসূচী, অনাথ ও পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ, কুইজ, রচনা ও ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দেওয়াল লিখন।
এছাড়া বিজয় দিবসের শুরুর লগ্নে অর্থাৎ রাত ১২টা ১ মিনিটে এক ভিডিও বার্তায় শিবির সভাপতি দেশবাসীকে বিজয় দিবেসের শুভেচ্ছা জানান।
Discussion about this post