ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, তারেক রহমান বাবার যোগ্য সন্তান। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে বাবার মতোই ছুটে গিয়েছিলেন। এই নেতাকে ফিরিয়ে আনতে হলে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোগ নিতে হবে।
তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সাবেক উপাচার্য এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এ সভার আয়োজন করে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে তারেক রহমান বাবার গড়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর মা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন। তারেক রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন। হাইকোর্টের রায়ে বিদেশে অর্থ পাচারের মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পাওয়া তারেকের বিরুদ্ধে আর বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এমাজউদ্দীন বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে নেতৃত্বে নতুন ধারা প্রবাহিত হবে।’
বক্তব্যে এমাজউদ্দীন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনটি শর্তের কথা বলেন। প্রথমত, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে। এ সংসদ রেখে নির্বাচন করাকে ‘বাতুলতা’ করা হবে বলেন। দ্বিতীয়ত, ভোটপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে, তা তুলে দিয়ে বা স্থগিত করে তাঁদের নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে। তৃতীয়ত, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আলোচনার মাধ্যমে যেভাবে গঠিত হয়েছে, সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নয়। নির্যাতিত মানুষের নেতা হিসেবে ফিরবেন।’ গুম, খুনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, কোনো পাগলও বিশ্বাস করবে না যে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অধীনে নির্বাচন হলে, বিএনপি জয়ী হবে। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন আর হতে পারবে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, তারেক রহমানের নাম শুনলে এ সরকার আতঙ্কিত হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বলেন, তিনি লাগামহীন কথা বলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভাপতি মো. লিটনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা, কর্মজীবী দলের সহসভাপতি ও সহসম্পাদক অপর্ণা রায়সহ প্রমুখ।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post