শিবিরকর্মী সন্দেহে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। খবর পূর্বপশ্চিম বিডির।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসের সবুজ বলেন, যদি ওই শিক্ষার্থী শিবির করে থাকে তাহলে মারধর করা ঠিক আছে। আর যদি শিবির না করে তাহলে মারধর কেন করেছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. রায়হান ইসলামকে শিবির সন্দেহে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাদী (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ৭ম ব্যাচ), ছাত্রলীগ কর্মী হাসান বিদ্যুৎ (পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচ), রাফিউল আলম দীপ্তসহ (এ আই এস বিভাগের ১০ম ব্যাচ) ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা কাঠ দিয়ে রায়হানকে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরে রায়হানের বন্ধুরা অটোরিকশায় করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে নেয়ার পথে রায়হান সাংবাদিকদের জানান, তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। রায়হান বলেন, ‘আমাকে তারা ডেকে নিয়ে শিবির বলে মারধর শুরু করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল হাসান সাদীর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসের সবুজ বলেন, যদি ওই শিক্ষার্থী শিবির করে থাকে তাহলে মারধর করা ঠিক আছে। আর যদি শিবির না করে তাহলে মারধর কেন করেছে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, মারধরের বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনও আমি পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে গত ৯ আগস্ট শিবির সন্দেহে দুই শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
Discussion about this post