জীবননাশের আশংকায় পদত্যাগ করেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে তাকে হত্যার জন্য ইরান ও হিজবুল্লাহ পরিকল্পনা করেছে অভিযোগ করে তিনি নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সৌদি আরব সফররত সাদ হারিরি তার এ বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান তার প্রভাব হারাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। খবর আল জাজিরার।
হারিরি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ইরানের প্রশ্রয়ে হিজবুল্লাহ রণসাজে সজ্জিত হয়েছে। তারা দেশের মধ্যে আরেকটি দেশ গড়ে তুলেছে।
এ সময় হারিরি বলেন, আমি ইরান এবং তার মিত্রদের বলতে চাই, আপনারা আপনাদের প্রভাব হারাচ্ছেন। আপনারা বিভিন্ন দেশে অযাচিত হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছেন। লেবাননে হাত দেয়ার চেষ্টা করলে হাত কেটে ফেলা হবে।
২০০৫ সালে সাদ হারিরির পিতা রফিক হারিরি এক গুপ্তহত্যার শিকার হয়ে নিহত হন। এরপর তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হন।
হারিরির পদত্যাগ দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন দেশটির রাজনীতিবিদরা। লেবানিজ দ্রুজ অ্যান্ড দা প্রোগ্রেসিভ সোসালিস্ট পার্টির নেতা ওয়ালিদ জামব্লাট বলেন, হারিরির পদত্যাগ একটা বড় প্রভাব ফেলবে। তার পদত্যাগ সৌদি আরব ও ইরানের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ফল।
তবে ইরানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাইন শেখ। তিনি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সাদ হারিরির পদত্যাগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি ক্রাইন প্রিসেন্ডরের সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের ফল।
এদিকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর হারিরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়াশিংটনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরব সেন্টারের রাজনৈতিক গবেষক ইমাদ হারব বলেন, মূলত হারিরি নিজের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। এজন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post