অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ব্যবসায়ী জগতে আসার পরই আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে আনিসুল হক তখনই সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়েছেন। আর সরকারও তাকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সহযোগিতা করেছে। এভাবেই একদিন আনিসুল হক ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ী নেতায় পরিণত হন। ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিও ছিলেন। এসবই ছিল আওয়ামী লীগের অনুকম্পায়।
২০১৫ সালে শেখ হাসিনা তাকে এক প্রকার ঘর থেকে ধরে এনেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বানিয়েছেন। এরপর ২০১৬ সালে আনিসুল হকের ভাই শফিউল আলম বেলালকে করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান। জানা গেছে, শেখ হাসিনা তাদেরকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই দেখেন। এজন্যই তিনি দুই ভাইকে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদে বসিয়েছেন।
এদিকে, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর আসিুল হক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কিন্তু, হঠাৎ করেই গত জুলাই মাসে লন্ডন যাওয়ার পর খবর আসে আনিসুল হক গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খুব জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের বেডেই রয়েছেন বলে তার পরিবার ও সরকারের বিভিন্ন সূত্র থেকে বলা হচ্ছে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আনিসুল হকের অসুস্থতা নিয়ে সরকার ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে এতদিন ধরে যা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ সাজানো ও বানানো। আনিসুল হক সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তাকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে।
অ্যানালাইসিস বিডির অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেয়র আনিসুল হক আওয়ামী ঘরানার লোক হলেও তিনি দীর্ঘদিন যাবত সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করে আসছিলেন। সুশীল সমাজের কিছু লোককে তিনি গোপনে সংগঠিত করেছিলেন। ভাই সেনাবাহিনীর প্রধান হওয়ার সুবাধে উত্তরপাড়ার কিছু লোকের সঙ্গেও তার বেশ খাতির ছিল। তার এ প্রচেষ্টায় তাদেরও জোরালো সমর্থন ছিল। এক্ষেত্রে তিনি ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদকে সামনে রাখছিলেন। কিন্তু ঘটনা চক্রে ফজলে হাসান আবেদ বিষয়টিকে গোপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বলে দেন। এরপরই শেখ হাসিনা আনিসুল হকের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। শেখ হাসিনা বিষয়টি সেনা প্রধান বেলালকে জানান।
এরপর আনিসুল হক গত জুলাই মাসে লন্ডন গিয়েও আরেকটি বৈঠক করেন। এ খবরও প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে আসে। এরপরই সেনা প্রধান বেলাল আনিসুল হককে দেশে আর না এসে লন্ডন থেকে যেতে বলেন। এ কারণেই অসুস্থতার ভান করে লন্ডনে অবস্থান করছেন আনিসুল হক।
Discussion about this post