কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার সময় সাংবাদিকদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন হামলাকারীরা।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা ফেনীর লালপুরের একটি খাবার হোটেলে গেলে সেখানে ক্ষমতাসীন দলের একদল নেতাকর্মী বলেন, ‘আপনারা এখান থেকে চলে যান। ওপরের নির্দেশনা আছে। নইলে বড় ধরনের বিপদ পড়বেন। কেউ রেহাই পাবে না।’
পরে এই হুমকির মুখে সাংবাদিকরা না খেয়ে হোটেল ত্যাগ করেন।
শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় তারা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে গণমাধ্যম কর্মীদেরও মারপিট ও গাড়ি ভাঙচুর কর।
হামলাকারীরা প্রকাশ্যে লাঠি হাতে গাড়ির সামনে গ্লাস ভাংচুর করতে থাকে। বিএনপি মহানগর দক্ষিণসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গাড়িও ভাংচুর করা হয়।
বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি ফেনীর সার্কিট হাউসে পৌঁছে। বহরের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের গাড়ি মোহাম্মদ আলী বাজার অতিক্রম করার সময় স্থানীয় একদল যুবক ব্যারিকেড দিয়ে সাংবাদিকদের গাড়ি ভাংচুর করে।
একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই ও বৈশাখী টেলিভিশন, একুশে টিভি, বাংলাভিশন, এটিএন নিউজের গাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের একটি মাইক্রোবাসও হামলারমুখে পড়ে। একাত্তর টিভির আলোকচিত্রী আলম হোসনে, সিনিয়র প্রতিবেদন শফিক আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। কালেরকণ্ঠ, নয়াদিগন্ত, যুগান্তর, যায়যায়দিন, গাজী টিভি, আমাদের সময়, নিউএজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হন। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন। একাত্তর টিভির এক কর্মী ভিডিও ধারণ করতে গেলে তিনিও মারধরের শিকার হন।
সূত্র: যুগান্তর
Discussion about this post