মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতায় জড়িত সেনা ইউনিট ও কর্মকর্তাদের সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপসহ আরও কিছু ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কোন নিপীড়ন হলে তার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।
এর আগে বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বই রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য দায়ী।
তিনি মিয়ানমারকে সতর্ক করে বলেছিলেন বিশ্ব কোন নিষ্ঠুরতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে বসে থাকবে না।
যদিও রোহিঙ্গা ইস্যুতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ধীরগতির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করছেন অনেকেই।
এখন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি অনুযায়ী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের কারণে মিয়ানমারের ওপর সীমিত মাত্রায় ব্যবস্থা নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আওতায় সহিংসতায় জড়িত বার্মিজ সেনা ইউনিট ও অফিসারদের সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নেবে দেশটি।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, “রাখাইনে সংঘটিত ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি”।
তিনি বলেন মিয়ানমার সরকার, সশস্ত্র বাহিনীকে অবশ্যই শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। জরুরী মানবিক সহায়তা এবং রাখাইন থেকে যারা পালিয়ে গেছে তারা যেনো নিরাপদে ফিরে আসতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
একই সাথে তিনি বলেছেন রোহিঙ্গা সমস্যার মূলে যে বৈষম্য সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
জাতিসংঘের হিসেবে গত ২৫শে অগাস্টের পর থেকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রাণভয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ছয় লক্ষ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
Discussion about this post